কলা পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় ফল বললে মোটেও বেশি বলা হবে না। খুব কম খরচে এত পুষ্টিকর একটি ফল সত্যিই আর নেই বললেই চলে। সব দেশেই কলা খাওয়ার চল রয়েছে। সব দেশের কলার স্বাদ একই রকমের।
কলার গায়ে ও খোসায় লেগে থাকা তন্তু বা আঁশের একটি নামও আছে। এগুলোকে বলে ফ্লোয়েম বানডল। এগুলো আসলে কী? এগুলো কলারই-বা কোন কাজে লাগে? এমন প্রশ্ন আপনার মনে জাগতেই পারে।
এগুলো কলার পুষ্টি জোগানোর কাজে লাগে। গাছ থেকে পুষ্টিগুণ এবং পানি কলার মধ্যে নিয়ে যাওয়ার কাজ করে এই তন্তুগুলো। প্রতিটি কলা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ হয়ে ওঠার পেছনে এগুলোর বিরাট ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু এগুলো মানুষের পেটে গেলে কী হয় তা বোঝার জন্য পুষ্টিবিদরা এই ফ্লোয়েম বানডলের গঠনের ওপর একই নিরীক্ষা চালিয়েছেন। নিরীক্ষায় দেখা গেছে, এগুলোতে নানা ধরনের খনিজ এবং পুষ্টিগুণে ভর্তি থাকে। এতে যে ফাইবার থাকে, তা কলার মধ্যে যে ফাইবার থাকে, তার থেকে গুণমানেও কিছুটা আলাদা। এবং গুণমানের দিক থেকে এই সুতাগুলো অবশ্যই ভালো।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এগুলো পেটে গেলে আসলে উপকারই হয়। কলা খাওয়ার সময় আমরা এগুলোকে ছাড়িয়ে ফেলে দিয়ে ভুল করি।
এখন প্রশ্ন হল এগুলো পেটে গেলে কী হয়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এগুলো পেটে গেলে কোনো রকমের সমস্যা হয় না উল্টো উপকারই হয়। কলা খাওয়ার সময়ে এগুলোকে ছাড়িয়ে ফেলে দিয়ে ভুল করি। স্বাদ নেই বলেই সাধারণত এগুলোকে ফেলে দেওয়া হয়। কিন্তু আসলে কলার থেকেও এই তন্তুগুলো বেশি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ ।
ঠিক যেভাবে আপেলের খোসা পুষ্টিগুণে ঠাসা, তেমনই কলার এই তন্তুগুলোও বহু উপকারী উপাদানে ঠাসা। ফলে এর পরের থেকে কলা খাওয়ার সময়ে এগুলো না ফেলে দিয়ে, খেয়ে নিতেই পারেন।