• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১৩ ফাল্গুন ১৪৩০, ২৮ শা'বান ১৪৪৬

খাবারের পর জোয়ান খেলে কী হয়


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৫, ০৫:২১ পিএম
খাবারের পর জোয়ান খেলে কী হয়
ছবি: সংগৃহীত

জোয়ান একটি মশলা, যা স্বাদ ও সুগন্ধের জন্য জনপ্রিয়। এর অনেক ঔষধিগুণও রয়েছে। প্রতিদিন নিয়ম করে জোয়ান খেলে উপকার পাওয়া যায়।  আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় এর গুণাগুণ নিয়ে অনেক বর্ণনা রয়েছে। আধুনিক গবেষণাতেও জোয়ানের ভেষজগুণকে ব্যাখ্যা করা হয়।

গবেষণায় প্রমাণিত হয়, প্রতিদিন খাবারের পর জোয়ান খেলে স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়।  হজমশক্তি বাড়ানো, রক্তচাপ কমানো, কোলেস্টেরলের মাত্রা উন্নত করা, শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা থেকে মুক্তি, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য, দাঁত ব্যথা উপশম করা এবং আর্থ্রাইটিসের ব্যথা কমে যায়। কীভাবে চলুন তা জেনে আসি।

হজমে সহায়তা করবে
জোয়ানে উপস্থিত থাইমল গ্যাস্ট্রিক রস নিঃসরণ বাড়ায়। এই প্রাকৃতিক প্রক্রিয়াটির সাহায্যে পেট ব্যথা, খিঁচুনি, পেট ফাঁপা এবং বদহজমের মতো সাধারণ হজম সমস্যাগুলো দূর হয়। জোয়ান পাচনতন্ত্রকে প্রশমিত করে। সেই সঙ্গে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল পেশীগুলোকে শিথিল করে।

রক্তচাপ কমাবে

গবেষণায় দেখা গেছে, জোয়ানের উপস্থিত প্রাকৃতিক যৌগ থাইমল, রক্তনালিগুলোকে শিথিল করে। রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। জোয়ানের নির্যাস খারাপ কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমিয়ে দেয়।  এইচডিএল কোলেস্টেরল বাড়ায়। ধমনীতে বাধা প্রতিরোধ হয় এবং হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে যায়


সর্দি-কাশি কমায়

জোয়ান প্রাকৃতিকভাবে কফনাশক হিসেবে কাজ করে। জোয়ানের চা শ্বাসনালী থেকে কফ পরিষ্কার করে। কাশি, সর্দি এবং নাক বন্ধ হওয়া থেকে মুক্তি দেয়।

মুখের যত্ন নেয়

জোয়ানের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা মুখের যত্ন নেয়। জোয়ান চিবিয়ে খেলে মুখের সংক্রমণ প্রতিরোধ হয়। দাঁতের ব্যথা কমায়।

ব্যথা উপশম করবে

বায়োকেমিস্ট্রি রিসার্চ ইন্টারন্যাশনালের রিপোর্ট অনুযায়ী, জোয়ানে প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যার মাধ্যমে আর্থ্রাইটিসের ব্যথা উপশম হয়। জয়েন্টের ব্যথা কমে যায়। প্রদাহজনিত রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের হাঁটাচলার সমস্যা দূর হয়।

ওজন কমাবে

জোয়ান হজম এবং বিপাকের মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে। এর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। যা সংক্রমণ, ব্রণ এবং ফুসকুড়ি প্রতিরোধ করে। হরমোনের ভারসাম্য বজায়ের মাধ্যমে জোয়ান ঋতুস্রাব চক্র নিয়ন্ত্রণ করে।

জোয়ান যেভাবে খাবেন

জোয়ান তিন ভাবে খাওয়া যেতে পারে। রাতে জোয়ান ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই পানি পান করা যায়। কুসুম গরম পানি বা মধুর সঙ্গে জোয়ানের গুঁড়ো মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। আবার ৫  মিনিটের জন্য পানিতে ফুটিয়ে জোয়ানের চা তৈরি করে খেতে পারেন।

জোয়ানের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

জোয়ান সাধারণত নিরাপদ হলেও, অতিরিক্ত ব্যবহার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে।  অ্যাসিডিটি, অ্যাসিড রিফ্লাক্স এবং পেপটিক আলসারের মতো সমস্যা হতে পারে। থাইমলের উচ্চ মাত্রার ফলে মাথা ঘোরা বা বমি ভাবও হতে পারে। তাই প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

Link copied!