আলু প্রতিদিনের খাবারের অন্যতম অংশ। সকালে নাস্তা থেকে শুরু করে রাতের খাবার সবকিছুতেই আলু থাকে। বলা যায়, আলু দেশের প্রধান খাদ্য। দরিদ্র থেকে ধনী সবার বাড়িতেই হাড়িতে আলুর পদ থাকবেই। আলু উৎপাদন সহজ। অল্প জায়গায়, অল্প উপকরণ দিয়েই আলু চাষ করা যায়। তাই কৃষকরা আলু চাষে আগ্রহী থাকেন।
প্রতিদিন ব্যবহার হওয়ায় অনেকেই আলু বেশি করে কিনে রেখে দেন। তবে দীর্ঘদিন ঘরের কোণে রেখে দিলে আলুতে অঙ্কুর গজায়। এটি আলুর চোখ হিসেবে পরিচিত। অঙ্কুরিত আলু রান্নায় ব্যবহার করা কতটা স্বাস্থ্যকর জানেন কি? সাধারণত আলু গরম, আর্দ্র পরিবেশ ও আলোর মধ্যে থাকলেই অঙ্কুর হওয়া শুরু হয়। অঙ্কুরিত এই আলুতে কিছু পরিবর্তনও ঘটে। সাধারণ আলুতে ভিটামিন সি আর অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট থাকে। অঙ্কুর হওয়া আলুতে পুষ্টিগুণের ঘাটতি থাকে। ভিটামিন সি ও কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কমে যায়। তবে এই আলু ভিটামিন বি৬ ও ফাইবারযুক্ত থাকে। এছাড়া অঙ্কুরিত আলুতে কিছু ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থও তৈরি হয়। এটি সোলানিনের পরিমাণ বাড়ায়। যা প্রাকৃতিক টক্সিন হিসেবে পরিচিত। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকে।
অঙ্কুরিত আলুতে গ্লাইকো-অ্যালকালয়েড প্রাকৃতিকভাবে বেশি উৎপন্ন হয়। যা অতিরিক্ত খাওয়া হলে পেটব্যথা, বমি ভাব, ডায়রিয়া হয়। এছাড়াও মাথাব্যথা বাড়তে থাকে।
তবে কি অঙ্কুরিত আলু খাওয়া ঠিক নয়? বিশেষজ্ঞরা জানান, অঙ্কুরের আকার ও আলুর সবুজ বর্ণের পরিবর্তনের ওপর নির্ভর করে এটি খাওয়ার উপযোগী থাকে। আলুর রং বিবর্ণ হলে তা খাওয়া ঠিক নয়। তবে অল্প পরিমাণে অঙ্কুরিত হলে তা কেটে ফেলে দিয়ে খাওয়া যায়।
আলুর অঙ্কুর গজানোর প্রতিরোধ করার উপায় হচ্ছে, এটি শীতল, অন্ধকারাচ্ছন্ন ও শুকনো স্থানে সংরক্ষণ করতে হবে। ভুলেও আলু ফ্রিজে রাখা যাবে না। কারণ বেশি ঠান্ডায় থাকলে আলুর স্টার্চ সুগারে রূপান্তর হয়। এতে স্বাদও বদলে যায়। এছাড়াও পেঁয়াজ ও আলু একসঙ্গে রাখা যাবে না। পেঁয়াজ থেকে এক ধরণের গ্যাস বের হয়। যা থেকে আলুতে অঙ্কুর গঁজায়।
তথ্য: টাইমস অব ইন্ডিয়া