সকালে উঠে গ্লাস ভরে পানি পান করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। তবে শুধু পানি পান করলেই হবে না, তা কুসুম গরম হতে হবে। হ্যা সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে কুসুম গরম পানি পান করলে স্বাস্থ্যে উপকারিতা পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা জানান, শরীরকে তরতাজা রাখতে কুসুম গরম পানি খাওয়া অত্যন্ত উপকারী। ঠাণ্ডায় গলা সুস্থ রাখতে কিংবা হজমের গোলমাল বা উচ্চরক্তচাপের ক্ষেত্রেও কার্যকরী। এই অভ্যাসে শরীরের বিভিন্ন অংশের ব্যথা নিরাময় হয়। গরম পানির উষ্ণতা শরীরের ব্যথা স্থানে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয়। তাই ব্যথা কমে যায়। হাড়ের গাঁটে ব্যথাও কমিয়ে দেয়।
এছাড়াও এই অভ্যাস চুলের স্বাস্থ্যও ঠিক রাখে। গরম পানি চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয়। ফলে চুল উৎপাদন করতে এবং চুলের স্বাস্থ্য বৃদ্ধি হয়। দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও এর জুড়ি নেই। দাঁতের যন্ত্রণা কমাতে গরম পানি পান করা যেতে পারে। নিয়মিত করলে এটি দাঁতে আরাম দেবে। দাঁতের উপরে জমে থাকা ময়লাও পরিষ্কার হবে।
আবার বদহজমের সমস্যা সমাধানেও গরম পানি পান উপকারী হতে পারে। এটি শরীরের গ্যাসের সমস্যা এবং অন্যান্য পেটের গোলমালের সমাধান দেয়।
গরম পানি পান করলে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং ঘাম ঝরতে থাকে, যা শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। প্রকৃতপক্ষে, সর্দি এবং কাশিযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য গরম জল বিশেষভাবে উপকারী হতে পারে। উপরন্তু, এটি হজম প্রক্রিয়াকে উদ্দীপিত করে এবং খাবারের ভাঙ্গনে সহায়তা করে, হজম সহজ করে। উষ্ণ জলের নিয়মিত ব্যবহার কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি, এমনকি কাশি বা সর্দির মতো পেট-সম্পর্কিত ব্যাধিগুলির সম্মুখীন ব্যক্তিদের মঙ্গলকে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করতে পারে।
শুধুমাত্র সকালে ঘুম থেকে উঠেই নয়, রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগেও গরম পানি পান করা যেতে পারে। বিশেষজ্ঞরা জানান, ঘুমনোর আগে গরম পানি পান করলে ভালো ঘুম হয়। সর্দি কাশি সেরে যায়। ঠান্ডার কারণে অনেকের নাক বন্ধ থাকে। যা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। গরম পানি পানে আরাম পাওয়া যায়। আর ঘুম ভালো হয়।