• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ত্বকের রোগ ঠেকাতে বন্যার্তরা যা করবেন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ২৯, ২০২৪, ০১:১০ পিএম
ত্বকের রোগ ঠেকাতে বন্যার্তরা যা করবেন
ছবিঃ সংগৃহীত

বন্যার সময় বা পড়ে যেটা সবচেয়ে বেশি আঘান হানে তা হলো পানিবাহিত রোগের প্রকোপ বেড়ে যাওয়া। পানিবাহিত রোগের উৎপত্তি ঘটে অপরিষ্কার পানীয় বা খাবার খাওয়ার মাধ্যমে। দূষিত পানি শরীরে প্রবেশ করতেই তা পানিবাহিত বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি তৈরি করে। বন্যার পানিতে বিভিন্ন ধরনের জীবণু মিশে থাকে। আর সেই জীবাণুযুক্ত দূষিত পানির সংস্পর্শে শরীরে দেখা দেয় চর্মরোগ। ছোটদের ত্বকেও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে এ সময়। যেকোনো বয়সেই ভেজা ত্বকে ছত্রাক সংক্রমণ হতে পারে। ত্বকে ফাঙ্গাল ইনফেকশন থেকে শুরু করে ত্বকে ছত্রাক বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ কিংবা অ্যালার্জির কারণে চুলকানি বা লালচে ভাব হতে পারে। মাথার ত্বক, ভ্রু, মুখমণ্ডল, নাকের দুই পাশ, বুকের ও পিঠের মাঝখানে ছোট ছোট দানার মতো দেখা দেয়, যা অনেকটাই তৈলাক্ত ও হলুদাভ। প্রচণ্ড চুলকানির সঙ্গে মাথার চুল পড়া বেড়ে যাওয়া, ত্বকে জ্বালা ও ফুসকুড়ি দেখা দেয়। এ ছাড়া আঙুলের মাঝখানে ঘা, টিনিয়া ইনফেকশন, স্ক্যাবিস জাতীয় নানা ধরনের ত্বকের অসুখ হতে পারে। তাই এসব সমস্যার বাস্তব সমাধানের ব্যাপারে জেনে রাখা প্রয়োজন।

যা করা প্রয়োজন

  • এ সময়ে নিয়মিত প্রতিদিন পরিষ্কার পানিতে গোসল করা, মুখমণ্ডল পরিষ্কার করা জরুরি। অর্থাৎ  ব্যক্তিগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।
  • বন্যার পানিতে শরীর ভেজানো থেকে বিরত থাকতে হবে। বন্যার পানির সংস্পর্শে এলে যত দ্রুত সম্ভব সাবান ও পরিষ্কার পানিতে ত্বক পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। পরিষ্কার পানি না পেলে জীবাণুনাশক দ্রবণ দিয়ে ত্বকের ওই অংশ পরিষ্কার করে ফেলুন। এরপর শুকিয়ে ফেলুন পরিষ্কার কাপড় দিয়ে। আঙুলের ফাঁকের ত্বক কিংবা ত্বকের অন্যান্য ভাঁজে ভেজা ভাব রয়ে যেতে পারে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত। এসব অংশ ভালোভাবে মোছার ব্যাপারে যত্নশীল হতে হবে।
  • যেসব কাপড় বন্যার পানির সংস্পর্শে এসেছে, সেগুলো উষ্ণ পানি ও ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে এরপর ব্যবহার করা উচিত। পোশাক-আশাক, বিছানার চাদরসহ সব ধরনের কাপড়ের ক্ষেত্রেই এ নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন।
  • অ্যান্টি ফাঙ্গাল ক্রিম, সাবান ও শ্যাম্পু ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • ত্বক যদি কোনোভাবে কেটে বা ছড়ে গিয়েই থাকে, তাহলে প্রয়োজন বাড়তি সতর্কতা। যখন বন্যার পানির সংস্পর্শে আসার ঝুঁকি থাকবে, তখন ত্বকের কাটাছেঁড়া অংশ অবশ্যই পানিরোধী ব্যান্ডেজ দিয়ে ঢেকে রাখতে চেষ্টা করতে হবে। পানিরোধী ব্যান্ডেজ যদি নিতান্তই না পাওয়া যায়, তাহলে গজ, আর সেটাও না পাওয়া গেলে কাপড় পেঁচিয়ে রাখবে। চেষ্টা করবে ক্ষতস্থানে যাতে বন্যার পানি না লাগে। তারপরও লেগে গেলে দ্রুত পরিষ্কার করে শুকিয়ে ফেলতে হবে।
  • শিশুদের জন্যও বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। শিশুরা যাতে বন্যার পানিতে নেমে গোসল না করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। শিশুর খেলনা বন্যার পানির সংস্পর্শে এলে ভালোভাবে পরিষ্কার না করে তার হাতে দেওয়া যাবে না। 
Link copied!