• ঢাকা
  • সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ঋতু বদলে জ্বর হলে কী করেন?


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২২, ০৭:৪৪ পিএম
ঋতু বদলে জ্বর হলে কী করেন?

ঋতু বদলাচ্ছে। ঘরে ঘরে এখন শীতের আবহাওয়া। বদলি আবহাওয়ায় জ্বরের প্রকোপও কম নয়। এরমধ্যে ডেঙ্গুর উপদ্রব তো রয়েছেই। সবমিলিয়ে জ্বর থেকে বাঁচার উপায় খুঁজতে হচ্ছে রীতিমতো। তবুও যারা জ্বরে ভুগছেন তারা নিজেদের চিকিত্সা নিয়ে শঙ্কায় থাকেন। কারণ জ্বর কী কারণে হয়েছে তা নির্ধারণ না করে সঠিক চিকিত্সাও করা যায় না।

করোনা ভাইরাস কিংবা ডেঙ্গুর প্রভাবে জ্বর বেড়েই চলেছে। এমনকি ভাইরাল জ্বরেরও এখন আতঙ্কিত হয়ে যেতে হয়। ভেবে দেখুন তো, জ্বর হলে প্রথমে কী করা হয়?

নিশ্চয়ই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। আতঙ্কিত না হয়ে আগে জ্বরের ধরণ বুঝুন। প্রথমেই যা করবেন তা হলো জ্বর মেপে দেখবেন। শরীরের তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে এরপরই চিকিত্সা করাবেন। 

চিকিৎসকেরা পরামর্শ দেন, জ্বর এলে অবশ্যই আগে মেপে নিন। এরপর সেই অনুযায়ী ওষুধ খাবেন। অতিরিক্ত শরীর খারাপ লাগলে ব্যবস্থাও শিগগিরই নিতে হবে। স্বাদ-গন্ধ চলে গেলে, শরীরে ব্যথা থাকলে তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খাবেন।

মনে রাখবেন, বাচ্চা কিংবা বড় যাদেরই জ্বর হবে ওষুধ খাওয়ার আগে তা পরিমাপ করে নিবেন। বেশি জ্বর থাকলে প্যারাসিটামল খেতে পারেন। অ্যান্টিবায়োটিক বা অন্য কোনও ওষুধ খাবেন না। ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। 

জ্বর থেকে মাথা ব্যথা হলে অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ খাচ্ছেন? এটিও করা উচিত নয়। এক্ষেত্রে  প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য কোনও ওষুধই খাবেন না। এছাড়াও নিয়মিত প্রেসার কিংবা সুগারের ওষুধ খাওয়া ডাক্তারি নির্দেশনা থাকলে জ্বর হলেই তা বন্ধ করবেন না।

ওষুধের চেয়ে ঘরোয়া খাবারে জোর দিন। তরল খাবার বেশি খাবেন। চা, ফলের রস, স্যুপ, স্যালাইন খেতে পারেন। এতে দুর্বলতা কমবে। কখনওই না খেয়ে থাকবেন না। 

জ্বর মেপে দেখার পর যদি তা বেশি হয় তবে সঙ্গে সঙ্গে মাথা ধুইয়ে নিন। এরপর পুরো গা মুছিয়ে নিবেন। এতে তাপমাত্রা কমে যাবে। তবুও তাপমাত্রা না কমলে ডাক্তারকে জানান।

 চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বাকি ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনে ডেঙ্গি, চিকুনগুনিয়া ম্যালেরিয়া, করোনার পরীক্ষা করানো হতে পারে। তবে সাত দিনের ওপরে জ্বর থাকলে সাধারণত  টাইফয়েডের পরীক্ষা করাতে হয়। যেকোনও সিদ্ধান্ত চিকিৎসকই দেবেন। সুতরাং জ্বর হলে ঘরোয়া উপায়ে চেষ্টা করবেন। তিন দিনে না কমলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন।

Link copied!