ডিজিটাল যুগে এখন সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় মোবাইল ফোন। ছোট বড় সবার হাতেই মোবাইল ফোন থাকে। হাতের মুঠোয় পুরো দুনিয়াকে পর্যবেক্ষণ করা কিংবা অবসর সময় কাটানোর অন্যতম মাধ্যম মোবাইল ফোন। ছোট্ট এই যন্ত্রটি এখন সব কাজেই ব্যবহৃত হয়। গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাজে, বিশেষ করে যোগাযোগ সহজ করতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় মোবাইল ফোনটি।
তবে কাজের প্রয়োজনেই এর ব্যবহার সীমাবদ্ধ রাখলে ভালো হতো। কাজের বাইরে সারাক্ষণ মোবাইল ফোনের আসক্তি মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে। কারণ ফোনের কারণে শরীরে প্রবেশ করছে ক্ষতিকর তরঙ্গ। যার নাম ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভ বা তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ।
বিভিন্ন ফোন প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলোর মতে, ফোনের রেডিয়েশন সাধারণত নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় থাকে। এই রেডিয়েশন আমাদের শরীরে দীর্ঘ সময় ধরে প্রবেশ করে। যা বিপজ্জনক বলে মনে করেন গবেষকরা।
গবেষকদের মতে, ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভ বা তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ শরীরের মধ্য়ে প্রবেশ করে বিভিন্ন কলাকোষকে উত্তপ্ত করে। কোষের বিক্রিয়া বিপর্যস্ত হয়। কোষের ডিএনএ নষ্ট করে দেয়। আবার কিছু ডিএনএ-হীন কোষের সংখ্যা বেড়ে যায় যা ক্যানসার সৃষ্টি করে।
গবেষকরা জানান, তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গের কারণে ব্রেনে টিউমারের ঝুঁকি বাড়ে। এই টিউমার ক্যানসারের আকারও ধারণ করতে পারে।
২০১৪ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য় সংস্থার দেওয়া বিবৃতিতে জানা যায়, ফোনের তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ শরীরে খুব সামান্য পরিমাণে প্রবেশ করে। শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর বাইরে ত্বকের একটি পুরু আস্তরণ থাকে। এই পুরু আস্তরণটিই রেডিওঅ্যাক্টিভ তরঙ্গকে প্রতিরোধ করে। তাই দিনের অধিকাংশ সময় যারা মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন তাদের বিপদ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে মনে করছেন গবেষকরা।
গবেষকদের পরামর্শ, মোবাইল ফোন অত্যন্ত প্রয়োজনীয় যন্ত্র। যা শুধু প্রয়োজনেই ব্যবহার করা উত্তম। অন্যথায় সারাক্ষণ মোবাইল ফোন ব্যবহারে বর্তমান সময়ে শরীরের ওপর বেশি প্রভাব পড়ছে। ছোটদের মোবাইল ফোন ব্যবহার সীমিত করতে হবে। অন্যদিকে প্রাপ্তবয়স্করাও মোবাইল ফোনের কেবল চাহিদা অনুযায়ীই ব্যবহার করবেন।