অসুস্থ রোগীর জন্য ওষুধই একমাত্র ভরসা। ওষুধ সেবন করে দ্রুত আরোগ্য লাভ করা যায়। কিন্তু জীবন বাঁচানোর সেই ওষুধই যদি ভেজাল হয়, তবে মানুষের জীবন হুমকির মুখে পড়ে। দোকানে বিক্রি করা অধিকাংশ ওষুধই এখন ভেজাল। তবে ওষুধ কেনার সময় কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখলে ভেজাল এড়ানো সম্ভব। চলুন জেনে নেই, কীভাবে আসল ওষুধ না নকল ওষুধ চেনা যাবে।
ওষুধের আকার, ওষুধের প্যাকেজিং খুব সচেতনভাবে দেখুন। হবে। এক পাতা প্যারাসিটামল কিনেছেন? প্রথমেই দেখে নিন প্রতিটা ওষুধের মাপ এক রকম কিনা। ভেজাল ওষুধের একেকটা একের মাপের হয়। সঙ্গে প্যাকেটের মধ্যে হাওয়ার বুঁদবুঁদ থাকে। কারণ আসল ওষুধের ক্ষেত্রে যে তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা হয়, ভেজাল ওষুধে তেমন কোনো বাধ্যবাধকতা থাকে না। তাই প্যাকেটে হাওয়ার বুঁদবুঁদ থাকে।
ক্যাপসুলের ক্ষেত্রেও একই রকম হয়। যদি একেকটা ক্যাপসুল একেক রঙের হয় এবং মাপও একই রকম না হয় তবে বুঝতে হবে এটি ভেজাল ওষুধ।
আসল ওষুধের প্যাকেটে থাকবে কিউআরটি কোড। যা স্ক্যান করলে, ওষুধ সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে।
আসল ওষুধে কোম্পানির নাম, তার পাশেই থাকবে ওষুধের জেনেরিক নাম থাকে। তৈরির তারিখ এবং এক্সপেয়ার হওয়ার তারিখও দেওয়া থাকে। সঙ্গে থাকবে ব্যাচ নম্বর এবং লাইসেন্স নম্বর। প্রত্যেক ওষুধের ক্ষেত্রেই কোম্পানিগুলো তাদের প্যাকেটে এই তথ্যগুলো দিয়ে থাকে। ভেজাল ওষুধের গায়ে এমনটা থাকে না।
দামি ওষুধ যে উপাদন দিয়ে তৈরি, সস্তা ওষুধে তা থাকবে না। তাই ওষুধ খেয়েও সমস্যা না কমলে বুঝতে হবে সমস্যা রয়েছে। এক্ষেত্রে স্যাম্পল
টেস্ট করাতে হবে।
কোনও বিশেষ কোম্পানি ওষুধ খেয়ে রোগ নিরাময় হচ্ছে না? এক্ষেত্রে অন্য কোম্পানির সেই ওষুধ খেয়ে দেখুন। তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিবেন।