আখরোট দিয়ে তৈরি কেক, মাফিন, ব্রাউনি খেতে অনেকেই ভালবাসেন। তবে মাঝে মধ্যে না, নিয়ম করেই খেতে পারেন আখরোট। তবে ফ্যাট আছে মনে করে অনেকে এই বাদাম এড়িয়ে চলেন। আসলে কিন্তু তা নয়। অন্য বাদামের চেয়ে পুষ্টিগুণে কোনো অংশে কম নয় আখরোটের। এতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়ামের মতো আরও নানা খনিজ পদার্থ রয়েছে।
সুস্থ থাকতে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় বাদাম রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কাজু, পেস্তা, চীনা বা আখরোট সব বাদামই স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী। অন্য বাদামের মতোই আখরোটেরও প্রচুর স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে। আখরোটে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে কাজ করে। এছাড়া অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ভরপুর আখরোট রক্তচাপ থেকে হার্টের অসুখ, সবই নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাই নিয়ম করে আখরোট খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। জেনে নিন আখরোট কেন খাবেন-
স্মৃতিশক্তি বাড়ায়
নিয়ম করে আখরোট খেলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে। কারণ আখরোটে আছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এটি মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। নিউরোলজিক্যাল ডিজঅর্ডারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কমে।
হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখে
আখরোটে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমের জন্য উপকারী। প্রতিদিন কয়েকটি করে আখরোট খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এটি শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল হ্রাস করে এবং ভালো কোলেস্টেরলের বাড়াতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকলে রক্তচাপও ঠিক রাখা সম্ভব, ফলে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কমবে।
হাড় শক্ত করে
হাড় ভালো রাখতে নিয়মিত আখরোট খান। এতে থাকা আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিড হাড়কে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে আখরোটে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডও হাড় ভালো রাখে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে
স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস হিসেবে বাদাম রাখুন খাদ্য তালিকায়। অনেকক্ষণ পর্যন্ত এটি পেট ভরা রাখতে সাহায্য করবে। এতে অপ্রয়োজনীয় খাবার খাওয়ার ইচ্ছেও হবে না। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হবে।
পেটের সংক্রমণ দূর করে
আখরোটে থাকা ফাইবার পাকস্থলীতে হজমে সাহায্যকারী ব্যাক্টেরিয়া তৈরি হয়। এই ব্যাক্টেরিয়া পেট ভালো রাখে, পেটের সংক্রমণ দূর করতেও সাহায্য করে।
গর্ভাবস্থায় উপকারী
গর্ভবতী নারীর জন্য প্রতিদিন আখরোট খাওয়া উপকারী। আখরোটে আছে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স যেমন ফোলেট, রাইবোফ্লাভিন এবং থিয়ামিন। এগুলো গর্ভবতী নারীর স্বাস্থ্য ভালো রাখে। তাছাড়া আখরোটে থাকা ফলিক এসিড গর্ভবতী ও অনাগত সন্তানের জন্য উপকারী।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে
আখরোটে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে থাকায় এটি ত্বক সুস্থ রাখতে ভূমিকা রাখে। নিয়মিত আখরোট খেলে ত্বকের বলিরেখা কমে। সেই সঙ্গে বয়সের ছাপও দূর হয়।