শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস করতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। যে ব্যক্তি নিয়মিত হাঁটবেন, সে অন্যদের তুলনায় সুস্থ থাকবেন। হাঁটার উপকারিতার কথা কারোরই অজানা নয়। তবুও নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস করতে পারেন না অনেকেই। কখন, কীভাবে, কত সময় হাঁটতে হবে তা বুঝতে পারেন না।
দিনে কত সময় হাঁটলে উপকার পাওয়া যাবে তাও অনেকেই জানেন না। সেই বিভ্রান্তি থেকেই আর হাঁটার অভ্যাস হয় না। এমন পরিস্থিতিতে ‘৬-৬-৬ হাঁটার রুটিন’মেনে চলতে পারেন। এই রুটিন মেনে হাঁটলে শরীর ও মন দুটোই চাঙ্গা থাকবে। শুধু তাই নয়, মানসিক চাপ, অনিদ্র, অতিরিক্ত ওজনের সমস্যা সবই নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
যারা ভারী ব্যায়াম কিংবা কঠোর ডায়েট করতে নারাজ কিংবা আলসেমি করেন, তাদের জন্য এই রুটিন বেশ কার্যকর হবে। বিশেষজ্ঞরা জানান, এই নিয়ম অনুসরণ করে স্বাস্থ্যকর পরিবর্তন সহজ হয়। মানসিক প্রশান্তি মেলে। তাহলে দেরি না করে জেনে নিন, কীভাবে ‘৬-৬-৬’ রুটিন মেনে হাঁটবেন।
সকাল ৬টায় হাঁটা শুরু করুন
সুস্থ থাকতে হলে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতেই হবে। কারণ সকালের সময়টা হাঁটার জন্য সবচেয়ে উপযোগী। প্রতিদিন সকাল ৬টায় হাঁটতে বেরিয়ে পড়ুন। ৩০ মিনিট হাঁটুন। আপনার মেটাবলিজম বাড়বে। সারা দিনের ক্যালরি বার্ন হবে। সকালে হাঁটলে সতেজ বাতাস পাওয়া যায়। এটি ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়ায়। যা থেকে মানসিক প্রশান্তি বজায় থাকে। গবেষণায় দেখা যায়, সকালে হাঁটার অভ্যাস করলে সারাদিন মন মেজাজ ভালো থাকে।
সন্ধ্যা ৬টায় আবার হাঁটুন
দিনের শেষে অর্থাৎ সন্ধ্যা ৬টায় আবার হাঁটতে বেরিয়ে পড়ুন। সারাদিনে ক্লান্তি শেষে শরীর ও মনকে স্বস্তি দিতে এই সময় হাঁটা অভ্যাস অত্যন্ত উপকারী। সন্ধ্যায় হাঁটলে রক্তচাপ কমে, হজম শক্তি বাড়ে। পাশাপাশি অতিরিক্ত মানসিক চাপও দূর হয়। এছাড়াও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে এই সময় ২০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস করুন। এতে রাতের ঘুমও ভালো হবে।
প্রতিদিন ৬০ মিনিট হাঁটতে হবে
সর্বশেষ ৬-এর নিয়ম হলো প্রতিদিন কমপক্ষে ৬০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস করতেই হবে। একটানা ৬০ মিনিট হাঁটা কষ্টকর হতে পারে। তাই সকাল ও সন্ধ্যায় দুই বেলায় ভাগ করে ৬০ মিনিট হাঁটুন। এতে হৃদ্রোগ হবে না। ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। সবচেয়ে উপকার পাবেন ডায়াবেটিসের রোগীরা। এছাড়াও স্মৃতিশক্তি বাড়বে। মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ ঠিক রাখবে। তাই মনও স্থিতিশীল থাকবে।
হাঁটার সময় যেসব নিয়ম মানতে হবে
হাঁটা শুরুর আগে শরীরকে প্রস্তুত করতে হবে। ওয়ার্ম-আপ করে নিতে পারেন। এতে পেশি নমনীয় হবে। রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি পাবে। হালকা স্ট্রেচিং বা ধীরগতিতে হেঁটে ওয়ার্ম আপ করে নিন। হাঁটার শেষেও ধীরগতি রাখুন। এটি শরীরকে কুল ডাউন করে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনবে।