স্মার্টফোন ছাড়া এক মিনিট কাটানোও অনেকের জন্যেই মুশকিল। ফলে তারা টয়লেটেও মোবাইল নিয়ে যান। ২০২৩ সালে লিথুয়ানিয়াভিত্তিক প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান নর্ডভিপিএনের এক জরিপে জানা যায়, উন্নত বিশ্বের দেশগুলোয় এখন প্রতি ১০ জনের ৬ জনই টয়লেটে ফোন নিয়ে যান। কেউ গেম খেলেন আবার কেউ কথোপকথনে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। কিন্তু টয়লেটে মোবাইল ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
ছড়াতে পারে ব্যাকটেরিয়া
সালমোনেলাসহ বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক টয়লেটের আর্দ্র পরিবেশে বংশবিস্তার করে। ফোনের কভার সাধারণত রাবার দিয়ে তৈরি হয়। আর এটিই ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়ার বংশবিস্তারের জন্য সাহায্য করে। রাবারে বাসা বাঁধে সব ক্ষতিকর ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া। ফলে টয়লেট দরজার লক, বাথরুমের ফ্লাশ বা কল ব্যবহারের পর সঙ্গে থাকা মোবাইলের স্ক্রিনে হাত দিলে তার মাধ্যমেও ছড়াতে পারে ব্যাকটেরিয়া। সেখান থেকে হতে পারে টাইফয়েডের মতো অসুখও।
মেরুদণ্ড ও পার্শ্ববর্তী পেশিতে চাপ
টয়লেটের কমোডে বসে মোবাইলফোন ব্যবহারের সময় মানুষ সাধারণত দুই হাঁটুর ওপর কনুইয়ে ভর দেন। এ অবস্থায় দীর্ঘ সময় বসে থাকার কারণে মেরুদণ্ড ও পার্শ্ববর্তী পেশিগুলোয় চাপ পড়ে এবং ধীরে ধীরে শুরু হয় অস্বস্তি। ব্যথা হয় পিঠে ও কাঁধে।
মলদ্বারের শিরার ওপর চাপ
টয়লেটে মোবাইলফোন ব্যবহারের কারণে একই জায়গায় অনেকক্ষণ বসে থাকার ফলে মলদ্বারের শিরার ওপর চাপ পড়ে। এতে পাইলসের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
পায়ে ঝিঁঝিঁ লাগা
টয়লেটে বসে মোবাইল দেখলে অনেক সময় কোনও একটা ভিডিও দেখা শুরু করলে সেটা শেষ করে বের হোন। ফলে অনেক সময় ধরে একইভাবে অনেক্ষণ বসে থাকার কারণে পায়ে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে যায়। আর সে কারণেই পায়ে ঝিঁঝিঁ লাগে এবং পরে উঠে দাঁড়ানোই দায় হয়ে পড়ে। এটাও স্বাস্থের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর।
ঘুমের সমস্যা
অনেকেই রাতে ঘুম থেকে উঠে টয়লেটে যান। আর টয়লেটে তাঁদের সঙ্গী হয় মোবাইলফোন। আর তখন মোবাইলে একটানা কয়েক মিনিট চোখ দিয়ে রাখলে মোবাইলের আলো ঘুম কেড়ে নেয়। তখন টয়লেট থেকে বের হয়ে এসেও মোবাইল নিয়েই বসে থাকে। ফলে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে। ঘুমের এ ব্যাঘাত স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর।