• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৬

টাইপ ১.৫ ডায়াবেটিস হতে পারে আরও ভয়াবহ!


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ২২, ২০২৫, ০৫:২৫ পিএম
টাইপ ১.৫ ডায়াবেটিস হতে পারে আরও ভয়াবহ!
ছবি: সংগৃহীত

ডায়াবেটিস রোগের ভয়াবহতা এখন সর্বত্র। প্রায় সব পরিবারেই ডায়াবেটিস রোগী দেখা যায়। ডায়াবেটিস বলতেই আমরা বুঝি টাইপ ১ এবং টাইপ ২। কিন্তু আরো এক ধরনের ডায়াবেটিস রয়েছে আছে, যা  হলো ‍‍`টাইপ ১.৫ ডায়াবেটিস‍‍`। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, 
টাইপ ১ ও টাইপ ২-এর থেকেও অনেক বেশি ক্ষতিকারক হতে পারে টাইপ ১.৫ ডায়াবেটিস।

বিশেষজ্ঞরা জানান, টাইপ ১.৫ ডায়াবেটিস আদতে টাইপ ১ এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসের সংমিশ্রণ। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় ‍‍`ল্যাটেন্ট অটোইম্যিউন ডায়াবেটিস ইন অ্যাডাল্টস (LADA)‍‍`। এই  ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন প্রাপ্তবয়স্করাই।

তবে টাইপ ১.৫ ডায়াবেটিস সহজে ধরা পড়ে না। যা নীরবেই শরীরে বাসা বাঁধে এবং শরীরের ভেতরে নানা জটিলতা সৃষ্টি করে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়। এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার বহুদিন পর পর্যন্ত মানুষে বুঝতেই পারে না। তাই সময়মতো সঠিক চিকিত্সাও নেওয়া যায় না।
টাইপ ১.৫ ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলে প্যানক্রিয়াস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যার ফলে ইনসুলিন উৎপাদন কমে যায়। এই ডায়াবেটিসের সঙ্গে টাইপ ১ এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিস, দুইয়েরই কিছু মিল আছে- টাইপ ১ ডায়াবেটিসের মতো এক্ষেত্রেও প্যানক্রিয়াস ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং টাইপ টু ডায়াবেটিসের মতো টাইপ ১.৫ ডায়াবেটিস-ও ধীরে ধীরে ছড়ায়।

চিকিৎসকরা আরও জানান, টাইপ ১.৫ ডায়াবেটিস একটি অটোইম্যিউন রোগ। যেখানে শরীরের ইম্যিউনিটি সিস্টেম  ইনসুলিন উৎপাদনকারী বিটা কোষগুলোকে আক্রমণ করে। এই প্রক্রিয়াটি ধীরে ধীরে ঘটে, ফলে শুরুতে ইনসুলিন উৎপাদন কমে যায় এবং আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের উপসর্গ দেখা যায়। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্যানক্রিয়াস ইনসুলিন উৎপাদন ভীষণভাবে কমিয়ে দেয় এবং শারীরিক সমস্যাগুলো টাইপ ১ ডায়াবেটিসের মতো হয়ে ওঠে।

কিছু উপসর্গের বিষয়ে সচেতন থাকলে এই ডায়াবেটিস শনাক্ত করা যেতে পারে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, টাইপ ১.৫ ডায়াবেটিসের উপসর্গগুলো প্রাথমিক পর্যায়ে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের মতোই হয়। এই উপসর্গের মধ্যে রয়েছে অতিরিক্ত তৃষ্ণা, ঘন ঘন প্রস্রাব, ক্লান্তি, ঝাপসা দৃষ্টিশক্তি এবং ওজনের পরিবর্তন।
এই ডায়াবেটিসের নেপথ্যে জিনগত এবং পরিবেশগত কারণ দায়ী হতে পারে।

টাইপ ১.৫ ডায়াবেটিস হলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইনসুলিন উৎপাদন কমে যেতে থাকে। যার ফলে শরীর ভীষণ দুর্বল হয়ে পড়ে। ইনসুলিনের ঘাটতিতে শরীরে মারাত্মক হারে অ্যাসিড জমা হতে থাকে। চিকিৎসা করা না হলে হৃদরোগ, কিডনির সমস্যা দেখা দেয়। এমনকি দৃষ্টিশক্তিও হারাতে পারেন অনেকে।

চিকিৎসকদের মতে, টাইপ ১.৫ ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় ইনসুলিন থেরাপির প্রয়োজন হতে পারে। 
যদি প্রাথমিকভাবে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে, তবে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধও ব্যবহৃত হতে পারে। পাশাপাশি, পুষ্টিকর ডায়েট এবং নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে।

Link copied!