তুলসি পাতার উপকারিতার কথা কম-বেশি সবারই জানা। শীতকালীন সর্দি-কাশি থেকে বাঁচতে তুলসী পাতা মহৌষধির মতো কাজ করে। আবার সকালে খালি পেটে তুলসি ভেজানো পানি পান করলে পাবেন উপকার। চলুন জেনে নেই তুলসী পানি কেন-
- নানান কারণে বর্তমানে মানুষ মানসিক চাপ এবং উদ্বেগের মধ্যে থাকে। তুলসি ভেজানো পানি সেই উদ্বেগকে মোকাবেল করতে কাজ করে। একাধিক গবেষণায় দেখা যায় তুলসির অ্যাডাপটোজেনিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা শরীরকে চাপের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে এবং চাপের পরে এটি পুনরায় সহজ হতে সাহায্য করে। প্রতিদিন তুলসির পানি পান করলে তা স্নায়ুকে শান্ত করতে এবং মানসিক স্বচ্ছতা বাড়াতে সাহায্য করে।
- তুলসীর কার্মিনেটিভ বৈশিষ্ট্য ভালো হজমে সাহায্য করে। হজমপ্রক্রিয়াকে সহজ করে। গ্যাস, অ্যাসিডিটি এবং পেট ফাঁপা কমায়। নিয়মিত তুলসীর পানি পানে পাচনতন্ত্র সুস্থ থাকে, হজমশক্তি বাড়ে।
- তুলসির পানি আপনাকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। ২০১৭ সালে হিন্দাউইতে প্রকাশিত একটি পর্যালোচনা অনুসারে, তুলসি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ইমিউনোমোডুলেশন বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ যা আমাদের শরীরে, বিশেষ করে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপর থেরাপিউটিক প্রভাব ফেলতে পারে। নিয়মিত তুলসির পানি পান করলে তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে।
- সকালে খালি পেটে তুলসী পানি পান করলে শরীর থেকে টক্সিন এবং জীবাণু বেরিয়ে যায়।
- তুলসি পানির প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা পরিপাকতন্ত্রকে প্রশমিত করতে এবং অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করে।
- তুলসীতে রয়েছে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য। যা মুখের বিভিন্ন সংক্রমণে খুব ভালো কাজ দেয়। তুলসীর পানি দিয়ে গার্গল করলে মাড়ি সুস্থ থাকে এবং নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধের সমস্যা অনেকটাই কমে।
- যেভাবে তুলসির পানি তৈরি করবেন
একমুঠো তুলসি পাতা নিয়ে ধুয়ে নেওয়া। এরপর প্রায় ১০-১২ মিনিটের জন্য পানিতে পাতা সেদ্ধ করতে হবে। এবার পাতা ছেঁকে নিয়ে এবং পানি ঠান্ডা হতে দিন। আপনার যদি এটি একটু মিষ্টি প্রয়োজন হয় তবে এতে এক চামচ মধু যোগ করুন। সকালে এই পানি পান করুন।