আমাদের জিভের পেছনের দিকে গলার দুই পাশে যে গোলাকার পিণ্ডটি দেখা যায়, তাকে টনসিল বলেন। শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থার একটা অংশ এই টনসিল। শীতে টনসিলের সমস্যা বেড়ে যায়। মূলত ঠান্ডার কারণে টনসিলে সংক্রমণ হয়।
টনসিল সংক্রমিত হলে তীব্র গলাব্যথা, মাথাব্যথা, খাবার খেতে কষ্ট, মুখ হাঁ করতে অসুবিধা, কানব্যথা, জ্বর, মুখ দিয়ে লালা বের হওয়া, কণ্ঠস্বর ভারি হওয়া, মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়ার মতো নানা লক্ষণ দেখা দেয়। তাই শীতে সতর্ক থাকতে হবে। আর যদি সতর্ক থাকার পরও টনসিলের ব্যথা বাড়ে তাহলে কিছু ঘরোয়া উপায়ে ব্যথা কমাতে পারেন। ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো জেনে নিন-
লবণ-পানিতে গার্গল
লবণে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য, যা প্রদাহ কমায়। এক গ্লাস উষ্ণ গরম পানিতে অর্ধেক চা-চামচ লবণ মিশিয়ে গার্গল করুন। স্বস্তি মিলবে।
লবণ-পানির ভেপার
এক গ্লাস উষ্ণ গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে মুখ দিয়ে ভাপ নিন। এই সময় চাদর দিয়ে নিজেকে মুড়ে রাখুন। কান-মাথা যেন অবশ্যই জড়ানো থাকে। ভেপার নেওয়ার সময় পাখার হাওয়া থেকে দূরে থাকুন।
লেবু-মধু পানি
অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণে ভরপুর মধু শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এক গ্লাস উষ্ণ পানিতে একটি পাতিলেবুর রস, ১ চামচ মধু ও একটু লবণ মিশিয়ে খান। এতে টনসিলের ব্যথা কমবে।
গ্রিন টি ও মধু
গ্রিন টির অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি শরীরের জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করে। আবার মধুর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ প্রদাহ দূর করতে কার্যকর। তাই আধা চা চামচ গ্রিন টি এবং এক চামচ মধু মিনিট দশেক ফুটিয়ে নিন। দিনে তিন বার এই চা খান। আরাম পাবেন।
হলুদ ও দুধ
হলুদের রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লেমটরি এবং অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট গুণ। যার কারণে হলুদ গলা ব্যথা কমাতে কার্যকর। এ ক্ষেত্রে এক কাপ গরম দুধে সামান্য হলুদ মিশিয়ে গরম গরম খেয়ে নিলে আরাম পাবেন।