পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমালেন কিন্তু তবুও ঘুম থেকে উঠার পর শরীর ক্লান্ত লাগে। সারাদিনই যেন জোর করে নিজেকে ঠেলে নিয়ে যেতে হচ্ছে। ঘুম ঘুম ভাব থেকেই যায় চোখে। ফলে কাজের দিকে মনোযোগ দেওয়া যায় না। তাই সচেতন হওয়া দরকার। ঘুম থেকে ওঠার পর যদি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ক্লান্ত বোধ করেন তবে এটি উদ্বেগের কারণ হতে পারে। কেন হয় এ সমস্যা-
খাওয়া
খাওয়া-দাওয়া ঠিক মতো না হলে ক্লান্তি কাটানো কঠিন। দৈনন্দিন জীবনে নানান ব্যস্ততায় অনেকেই সঠিক সময়ে খাবার খাওয়ার অভ্যাস থেকে বেরিয়ে এসেছেন। তাতে শরীর সময় মতো পুষ্টি পায় না। ফলে কর্মশক্তিও কমতে থাকে। তখন শরীরের দুর্বলতা থেকে এরকম হতে পারে।
ঘুম
অনেকেই এখন ফোনে স্ক্রোল করতে করতে কিংবা টিভি দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পড়েন। এটি আমাদের ঘুমকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করে। বিশেষজ্ঞের মতে, ফোনের স্ক্রিন নীল আলো নির্গত করে যা ঘুমের হরমোন মেলাটোনিনকে প্রভাবিত করে এবং ঘুমকে দূরে সরিয়ে দেয়। ফলে ঘুমালেও সকালে উঠে এক রকম ঝিমুনি কাজ করে।
পানিশূন্যতা
শরীরে পানিশূন্যতা হলে শরীর দুর্বল হয়ে যায়। যদি সারাদিন পর্যাপ্ত পানি পান না করেন তবে এটি আপনার শরীরের অ্যামাইনো অ্যাসিডের মাত্রাকে প্রভাবিত করতে পারে। পর্যাপ্ত অ্যামাইনো অ্যাসিড না থাকলে ট্রিপটোফ্যানকে সেরোটোনিনে মেলাটোনিনে রূপান্তর করার প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। এর মানে হলো যে মেলাটোনিন আপনার শরীরে নির্গত হওয়া উচিত তা উৎপাদিত হয় না। এর ফলে আপনার ঠিকঠাক ঘুম হবে না। শরীর যেন পানিশূন্য না হয়ে পড়ে তাই বেশি বেশি পানি পান করুন।
ডায়াবেটিস
রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে থাকলেও জানান দেয় শরীর। ক্লান্তি হল ডায়াবেটিসের একটি গুরুতর উপসর্গ।
থাইরয়েডের সমস্যা
থাইরয়েড কিংবা হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে শুধুমাত্র ওজনই নয় ঘুমকেও প্রভাবিত করে। অনেক সময় পর্যাপ্ত ঘুম নাও হতে পারে। আবার ঘুম পর্যাপ্ত হলেও ওঠার পরে ক্লান্ত বোধ করতে পারেন।
মানসিক চাপ
মানসিক চাপ ভালো ঘুমের ক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে এবং সকালে ক্লান্ত বোধ করতে পারেন। উদ্বেগ বা বিষন্নতার কারণে আপনার ঘুমের গড়মিল হতে পারে। এমন হতে পারে, আপনি ঘুম থেকে বারবার জেগে উঠছেন। যদি মানসিক চাপ বোধ করেন তবে ধ্যান, যোগব্যায়াম বা গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়ামের মতো চাপ-হ্রাসকারী ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। এটি আপনার স্ট্রেস লেভেল কমিয়ে ঘুমের মান উন্নত করতে পারে।