বর্তমান সময়ে হৃদ্রোগ খুব সাধারণ একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কম বয়সীদের মধ্যে হৃদ্রোগের প্রবণতা দেখা যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের মতো বিষয়গুলিকেই হৃদ্রোগের কারণ বলে চিহ্নিত করা হয়। চিকিৎসকেরা বলছেন, মানুষ নিজের অজান্তেই এমন কিছু অভ্যাসে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন, যা একটু একটু করে হার্টের স্বাস্থ্য খারাপ করে।
লিভারের যত্ন না নেওয়া
হৃদ্যন্ত্র ভাল রাখতে গেলে লিভারের কার্যক্ষমতা ভাল হওয়া প্রয়োজন। কারণ হৃদ্যন্ত্র ভাল রাখতে যে উৎসেচকগুলি লিভার থেকে নিঃসৃত হয়, লিভারে মেদ জমলে তা বাধাপ্রাপ্ত হয়। ফলে রক্তে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
শরীরচর্চা না করা
যারা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন না, তাদের মধ্যে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি। শারীরিক স্থূলতায় কারণে অনেক রোগের সৃষ্টি হয়। চিকিৎসকদের মতে, প্রতিদিন অন্তত আধঘণ্টা হাঁটলেও হৃদ্রোগের ঝুঁকি এড়ানো যায়।
অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার অভ্যাস
অনেকই খাওয়ার পাতে আলাদা করে লাবণ নেন। এই অভ্যাসই কিন্তু বাড়িয়ে তুলছে হৃদ্রোগের ঝুঁকি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি সারা দিনে সব মিলিয়ে মাত্র ৫ গ্রাম লবণ খেতে পারেন। এ ছাড়াও প্রক্রিয়াজাত খাবার, প্যাকেটজাত খাবারও বুঝেশুনে খেতে হবে। না হলে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।