মৌসুম পরিবর্তনের প্রভাব অনেকের মধ্যেই খুব বাজে ভাবে পড়ে। আবার অনেকেরই তেমন কোন সমস্যা হয় না। তবে শীতের যে প্রভাব তা বেশিরভাগ মানুষের উপরই পড়ে। কারণ অন্যান্য সময়ের চেয়ে এসময়টা একদম বিপরীত। এই সময় আবহাওয়া শুষ্ক থাকে যার কারণে রোগজীবাণু বেড়ে যায়। নানা রকম সংক্রমণজনিত রোগ আক্রান্ত করে সহজেই। তাই এই মৌাসুম পরিবর্তনে সবার একটু বিশেষ নজর দেওয়া উচিত।
- শীতে যেহেতু আবহাওয়া শুষ্ক থাকে তাই এই সময় শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দেয়। অন্যদিকে শীতেই অনেকের পানি পানে অনিহা দেখা যায়। ফলে শরীরে পানিশূণ্যতা দেখা দেয়। তাই শীতে পর্যাপ্ত পানি পান অপরিহার্য।
- শীতের সকালে উষ্ণ পানীয় পানে আরাম পাবেন। এক্ষেত্রে আদা চা, তুলসী চা, লেবু চা পান করতে পারেন।
- পোশাকের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। নয়ত ঠান্ডা-জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।
- শীতে বাজারে নানা রকম সবজি পাওয়া যায়। এসব সবজি দিয়ে স্যুপ বানিয়েও খেতে পারেন। উষ্ণ স্যুপ খেলে একদিকে যেমন উষ্ণতার জন্য আপনার কষ্ট উপশম হবে, তেমনি পুষ্টির চাহিদাও মিটবে অনেকটা।
- শীতে রঙিন শাক সবজি খেতে হবে বেশি করে। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। এতে বারবার অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি কমবে।
- মৌসুমী ফল বেশি বেশি খেতে হবে। মৌসুমী ফলে ভিটামিন সির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। এতে খাবারের রুচিও বাড়ে।
- শীতে আদার রস খেতে পারেন। আদা-চা শরীরের জন্য বেশ উপকারী। এতে প্রদাহ কমে।
- এই মৌসুমে নিয়মিত গোসল করতে হবে। অনেকেই আছে ঠান্ডার ভয়ে গোসল করতে চান না। এইটা ঠিক না। জ্বর জ্বর লাগলে বা শরীর ম্যাজম্যাজ করলে কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করলে আরাম পাওয়া যাবে।
- নিয়মিত ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার দিকে মনোযোগ দিতে হবে।