একমাত্র রক্তদানের মাধ্যমেই একটা মানুষের জীবন বাঁচাতে ভূমিকা রাখতে পারেন আপনি। তাই রক্তদানকে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ও নিঃস্বার্থ উপহার হিসেবে ধরা হয়। রক্ত যেমন একদিকে জীবন রক্ষা করে, অন্যদিকে সঠিকভাবে রক্তদাতা নির্বাচিত না করে রক্ত নিলে জীবন বিপন্নও হতে পারে। আবার যিনি রক্ত দিবেন তার ক্ষেত্রেও কিছু বিষয় মাথায় রাখা দরকার।
- রক্তদান করার জন্য দাতার বয়স অবশ্যই ১৮ বছর বা তার বেশি হতে হবে। তবে ৬৫ বছরের বেশি হলে হবে না।। ওজন ৪৫ কেজির নিচে হলে ওই ব্যক্তি রক্তদান করতে পারবেন না।
- যে কোনো ধরনের ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস কিংবা ছত্রাকজনীত রোগে আক্রান্ত থাকলেও ওই ব্যক্তি রক্তদান করতে পারবেন না। দাতার রক্ত দ্বারা বাহিত অসুখ থাকলে তিনি রক্তদান করতে পারবেন না। এ ছাড়া, এডস, হৃদ্রোগ, ক্যানসার, এপিলেপ্সি, কিডনির অসুখ থাকলেও রক্তদান করা যায় না।। যাদের অ্যানিমিয়া রয়েছে, রক্ত দেওয়ায় নিষেধ রয়েছে তাদেরও।
- দাতার রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা যদি ১২.৫-এর নীচে হয় বা হৃদ্স্পন্দনের হার যদি ৫০-এর কম ও ১০০-এর বেশি হয়, তা হলেও রক্ত নেওয়া হয় না। হাঁপানি, টিবি বা কোনো ধরনের অ্যালার্জির সমস্যা থাকলেও রক্ত দেওয়া যায় না।
- গর্ভবতী ও বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন এমন নারীরাও রক্তদান করতে পারবেন না।
- রক্ত দেওয়া আগের ছয় মাসের মধ্যে যদি ট্যাটু বা পিয়ার্সিং করানো হয়, তা হলেও রক্ত দেওয়া যাবে না।
- রক্ত দান করার আগের দাতা ২৪ ঘণ্টায় মদ্যপান ও দু’ঘণ্টা আগে ধূমপনও করা চলবে না।
- যেসব রক্তদাতা অ্যাসপিরিন বা এনএসএইড সেবন করেছেন, তাঁদের অন্তত তিন দিন ওষুধ বন্ধ রেখে রক্তদান করতে হবে।
- হেপাটাইটিস বি, রেবিজ টিকা নেওয়ার পর ছয় মাস রক্তদান করা উচিত নয়।
- দেহের তাপমাত্রা অবশ্যই স্বাভাবিক অর্থাৎ ৯৯ দশমিক ৬ ফারেনহাইটের মধ্যে থাকতে হবে। অসুস্থ বা জ্বর, ঠান্ডা বা কাশি থাকলে রক্ত দেওয়া যাবে না।
- রক্ত দেওয়ার ৪ মাসের মধ্যে পুনরায় রক্ত দেওয়া যাবে না। নারীদের ক্ষেত্রে এসময় আরও বেশি। নারীরা সাধারণত ছয় মধ্যে রক্ত না দিলেই ভালো।