গরমে মানুষ নানাভাবে কষ্ট পায়। এসময় ত্বকের নানা সমস্যা ও ঘামাচি যন্ত্রণাময় হয়ে ওঠে। শিশুদের মধ্যে গরমকালে ঘামাচির সমস্যা দেখা দেয় বেশি। অতিরিক্ত ঘামে লোমকূপগুলো বন্ধ হয়ে যায়, যার ফলে ঘাম শরীর থেকে বের হতে পারে না। এই ঘাম ত্বকের নিচে জমেই হয় ঘামাচি। সারা শরীরেই ঘামাচি হয়। তবে পিঠে, বুকে, কপাল, গলায় এবং ঘাড়ে বেশি দেখা যায়। শিশুদের সবচেয়ে বেশি ঘামাচি হয়। ঘামাচি খুব বেশি হলে জ্বালা ও চুলকানিতে বাচ্চারা কষ্ট পায়। তাই এ সময় ঘাম আর ঘামাচি থেকে শিশুকে একটু স্বস্তি দিতে বাবা-মাকে একটু বাড়তি যত্ন তো নিতেই হবে।
- শিশুরা ঘামলে যত দ্রুত সম্ভব ঘামে ভেজা পোশাক পরিবর্তন করতে হবে। ঘাম হলে সঙ্গে সঙ্গে নরম কাপড়, তোয়ালে বা রুমাল দিয়ে মুছে নিতে হবে।
- ঢিলেঢালা ও সুতির কাপড় পরাবেন। ফ্যান ছেড়ে দিন ও জানালা খুলে রাখুন, যাতে ঘরে বাতাস চলাচল করে।
- ঘামাচি প্রতিরোধে শিশুকে যতটা সম্ভব ঠাণ্ডার মধ্যে রাখা উচিত।
- শিশুরা বাইরে থেকে আসার পরই পোশাক খুলে বাতাসে ছড়িয়ে দিতে হবে।
- যার যার সঙ্গতি অনুযায়ী যতটুকু পারা যায় গরম পরিবেশ এড়িয়ে চলে একটু ঠাণ্ডা এবং খোলামেলা পরিবেশে থাকার চেষ্টা করতে হবে।
- শিশুকে স্বাভাবিক ঠান্ডা পানিতে গোসল করাতে হবে। পানি বরফঠান্ডা অথবা বেশি গরম না হওয়াই ভালো।
- বারবার শিশুর গা ঠাণ্ডা পানিতে মুছিয়ে দিলে ঘামাচির বেশ উপকার হয়। দিনে কয়েকবার ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করা যেতে পারে।
- মাথায় চুলের গোড়ায় অনেকের ঘাম বেশি হয়। সেখানে যাতে ইনফেকশন না হয় সেজন্য চুলে শ্যাম্পু করতে হবে।
- বাচ্চাদের বেশি করে পানি ও তরল খাবার খাওয়ানো উচিত।
- ঘামাচি রোধক বা ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করা যেতে পারে ঘামাচি দূর করার জন্য। তবে পাউডার ব্যবহারের আগে শরীর ভালো করে মুছে নিতে হবে যাতে ঘাম না থাকে।
- খুব ছোট শিশুদের গরমের সময় মাথা ন্যাড়া করে দিন। এতে মাথায় ঘামাচি, খুশকিসহ নানা রকম চর্মরোগ হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।
- ঘামাচি থেকে সংক্রমণ যদি বেশি হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।