গর্ভবতী নারীদের নানা বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরি। আর শীতে যেহেতু এমনেতেই বিভিন্ন সমস্যা হানা দেয় তাই এসময় সচেতনতা বাড়ানো জরুরি। চলুন জেনে নেই, শীতে গর্ভবতী নারীরা কোন কোন বিষয়ে সচেতন থাকবেন-
হাইড্রেটেড থাকুন
যে কোন মানুষের জন্য হাইড্রেড থাকা জরুরি। আর এদিকে শীতে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ খুবই কম। যার ফলে সহজেই শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দেয়। তাই এসময় তৃষ্ণা না পেলেও পানি খাওয়া জরুরি। গর্ভবস্থায় যতটুকু পানি পান করা দরকার কোন ভাবেই তার কম পান করা যাবে না।
বাড়ির ভিতরে সক্রিয় থাকুন
অনেকেই আছেন যারা গর্ভবস্থায় শুয়ে বসে কাটাতে পছন্দ করেন। তাদের ধারণা এভাবে সবসময় বিশ্রামে থাকলেই ভালো থাকবেন। কিন্তু এটা ঠিক না। বিশ্রাম নিতে হয়, তবে সবসময় শুয়ে থাকা ঠিক না, তবে তাই বলে বাইরে গিয়ে দৌড়াদৌড়ি করবেন তাও করা যাবে না। তাই এসময় বাড়িতেই চিকিৎসকের পরামর্শে প্রসবপূর্ব যোগব্যায়াম বা স্ট্রেচিং-এর মতো হালকা ব্যায়ামে নিজেকে সক্রিয় রাখুন। এতে রক্তসঞ্চালন ভালো হবে।
ঠাণ্ডার সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন
শীতের ঠান্ডা আবহাওয়া গর্ভবতী নারীর জন্য যেমন ক্ষতিকর তেমনি গর্ভের সন্তানের জন্যও। তাই ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় সতর্ক থাকুন। সর্দি কাশিতে যেন আক্রান্ত না হোন সেদিকে খেয়াল রাখুন। তাই বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হলে সতর্কতা অবলম্বন করুন। ঠাণ্ডা পরিবেশে দীর্ঘক্ষণ থাকা এড়িয়ে চলুন।
সঠিক পোশাক বাছাই করুন
শীতে সঠিক পোশাক বাছাই করা জরুরি। তাই আবহাওয়ার কথা ভেবে পোশাক পরিধান করুন। উলের সোয়েটার এবং স্কার্ফ তাপ ধরে রাখতে পারে। তাই বেশি শীতে এধরনের পোশাক বেছে নিন।
সুষম খাবার
গর্ভবস্থায় শুধু মায়ের কথা ভেবে খাবার খাবেন তা হয় না। গর্ভবতী নারীর শরীর থেকে তার পেটে থাকা সন্তানও খাবার গ্রহণ করে। তাই মা ও শিশুর কথা ভেবে সুষম খাবার খেতে হবে। আর শীতে খাবারে বেশি যত্নশীল হতে হবে। কারণ শীতে এমনেতেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে শীতকালীন নির্দিষ্ট পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার খান। প্রতিদিন শাক সবজি, ফল মূল, মাছ খাদ্যতালিকায় রাখুন। পুষ্টিবিদের পরামর্শ মেনে সঠিক প্রোটিন গ্রহণ করুন।