শীত বিদায় নিয়েছে। তবে বসন্তের বাতাস মনকে চাঙা করলেও শরীরকে যেন অসুস্থই করে দিচ্ছে। এই মৌসুমে এক সময় ঠাণ্ডা আর এক সময় গরম অনুভূত হয়। দুপুরে কপালে ঘাম থাকলেও রাতে কাপুনি দিয়ে শীত লাগে। আবহাওয়ার এই বদলে শরৗরও যেন বদলে যাচ্ছে। ঘরে ঘরে সবাই সর্দি, কাশি লেগেই আছে। চোখ লাল হচ্ছে, এমনকি গলাও খুশখুশ করছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গরম পড়ার আগে এই সময়টি অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। এই মৌসুমে বেশি সাবধান থাকা প্রয়োজন। না হলেই সর্দি, কাশি, বুকে কফ জমার মতো সমস্যা দেখা দিবে। প্রতিদিন সকালে কুসুম গরম পানি খেলে ঠাণ্ডা থেকে বাঁচা যাবে কিছুটা। এতে শ্বাসনালিতে ঠাণ্ডার হামলা এড়ানো যাবে এবং খুসখুসে কাশি থেকে বাঁচা যাবে।
বিশেষজ্ঞরা আরও জানান, কাশি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওষুধ খাওয়া ঠিক নয়। এই সময় ঘরোয়া টোটকা দিয়ে সারিয়ে তোলার চেষ্টা করতে হবে। কাশি শুরুর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোনও অ্যান্টি বায়োটিক বা অ্যান্টি অ্যালার্জিক ওষুধ খেলে হিতে বিপরীত হবে। কারণ কাফ সিরাপ খেলে তা দূর হওয়ার বদলে বদলে উল্টো জমে যেতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা জানান, কোনও সর্দি জ্বর না থাকলে শুধু কাশির ধরনের আওয়াজ শুনে অনুমান করা সম্ভব কতদূর ছড়িয়েছে রোগ। যদি শুকনো ও খুশখুশে কাশি হয়, তবে বুঝতে হবে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস এখনও ফুসফুস অবধি পৌছয়নি। এক্ষেত্রে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসকে নির্মূল করা যাবে।
তবে কাশির সঙ্গে জ্বর ও সর্দির লক্ষণ থাকলে অবশ্যই সাবধান হতে হবে। জ্বর তিন দিনের বেশি থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শে প্রয়োজনীয় ওষুধ খেতে হবে।
সূত্র: হেলথলাইন