বাইরে জুতো পরলেও, বাড়িতে স্যান্ডেল পরতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। আগে অনেকেই বাড়িতে খালি পায়েই হেটে বেড়াতেন। কিন্তু এখন অধিকাংশ বাড়িতেই ছোট বড় সবার পায়ে স্যান্ডেল থাকে। বাড়িতে পরার জন্য আরামদায়ক স্যান্ডেলই বেশি পছন্দ করেন। যেন দুটি পা সুরক্ষিত থাকে।
বিশেষজ্ঞরা জানান, বাড়িতে সারাক্ষণ স্যান্ডেল পরে হাটার অনেক সুফল রয়েছে। ঘন ঘন ঠান্ডা লাগে না। জ্বর, সর্দি থেকেও রেহাই পাওয়া যায়। রক্ত সঞ্চালনও স্বাভাবিক থাকে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে।
ঘরের মেঝে সবসময় পরিষ্কার থাকে না। ঘর মোছার পরও জীবাণু থেকে যায়। যা খালি চোখে দেখা যায় না। এসব ব্যাকটিরিয়া, ফাঙ্গাসের সংক্রমণ বাড়িয়ে দেয়। তাই পায়ে স্যান্ডেল পরা থাকলে যেকোনো ঝুঁকি এড়ানো যায়।
ছোট এবং বয়স্কদের পায়ে স্যান্ডেল থাকলে শরীরে ভারসাম্য গড়ে ওঠে। শিশুদের পায়ের পাতা গোড়াতেই সমান হয় না। তাই দাঁড়াতে গেলে পড়ে যায়। পায়ে জুতো বা স্যান্ডেল থাকলে হাঁটতে সুবিধে হয়। আর বয়স্করা সোজা হয়ে চলতে পারেন। এছাড়াও বয়স্কদের রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা হলে পা ফুলে যেতে পারে। পায়ে স্যান্ডেল পরলে তা তাপমাত্রা ধরে রাখে এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয়। তাই পায়ের সঠিক মাপ অনুযায়ী আরামদায়ক স্যান্ডেল কিনতে হবে। এতে ক্লান্তবোধও হবে না।
এছাড়াও কাঠ বা টাইলস বসানো মেঝেতে পা সুরক্ষিত রাখতে স্যান্ডেল পরতে হয়। নয়তো পা পিছলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এক্ষেত্রে নীচে গ্রিপ থাকা স্যান্ডেল পরে হাটতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা জানান, যারা সারাদিন খালি পায়ে হাটে তাদের পায়ের উপর চাপ পড়ে। পায়ে ব্যথা হয়। পা ফুলে যায়। পায়ে স্যান্ডেল থাকলে চাপ পড়ে না। তাই বাড়িতে পরার জান্য আরামদায়ক স্যান্ডেল কিনতে হবে। ছোট কিংবা বড় মাপের নয়, বরং সঠিক মাপের স্যান্ডেল পরতে হবে। চামড়া বা সোয়েডের স্যান্ডেল পরা যায়। প্লাস্টিকের শক্ত স্যান্ডেল সারাক্ষণ না পরাই ভালো হবে।