মহামারীতে পরিণত হয়েছে ভুলে যাওয়া রোগ ডিমেনশিয়। বিশেষজ্ঞদের ধারণা যথাযথ চিকিৎসা আবিষ্কার না হওয়ায় ধীরে ধীরে এই রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ২০২০ সালের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ১১ লাখেরও বেশি মানুষ ডিমেনশিয়ায় ভুগছেন। আর এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত নারী, ৭৫ শতাংশ। ভবিষ্যতে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে শঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) আলঝেইমার সোসাইটি অব বাংলাদেশ এবং জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এনএসডিএ) যৌথ উদ্যোগে `ডিমেনোশিয়া কেয়ার এন্ড রাইটস` শীর্ষক সেমিনার আয়োজন করা হয়। এই আয়োজনে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ হালিদা হানুম আক্তার।
ডিমেনশিয়া নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে গবেষণা করা উচিত বলে মনে করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, সঠিক চিত্রটি পেলে রোগীদের সেবা নিশ্চিত করা সহজ হবে। চিকিৎসাখাতে আমরা নানান বিষয় গবেষণা করি। এক্ষেত্রে ডিমেনশিয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়ে গবেষণার দরকার আছে।
তিনি মনে করেন, রোগীর সেবা যত্ন যিনি করবেন, তার ভেতরে যাতে আন্তরিকতা নিয়ে রোগীকে বোঝা; তার কষ্টটুকু নিজের মতো করে উপলব্ধি তৈরি হয়, সেটা নিয়ে ট্রেনিং বা প্রশিক্ষণ খুবই দরকার।
এসময় জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ হালিদা হানুম আক্তার জানান, বাংলাদেশে ২০২০ সালে ১১ লাখ ডিমেনশিয়া রোগী পাওয়া গেছে। এসব রোগীদের মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৮০ হাজার, যা ২৪.৫ শতাংশ। এছাড়াও, নারী ডিমেনশিয়া রোগী রয়েছে ৮ লাখ ৩০ হাজার।