শীতের শাকের মধ্যে পালং শাক হলো অন্যতম। যদিও সারাবছরই এখন পাওয়া যায় এ শাক। পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ পালং শাক শরীরের জন্য চমৎকার উপকারী ভূমিকা রাখে। প্রতি ১০০ গ্রাম পালং শাকে প্রোটিন আছে ২.০ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট আছে ২.৮ গ্রাম।
আঁশ আছে ০.৭ গ্রাম, আয়রন ১১.২ মি. গ্রাম, ফসফরাস আছে ২০.৩ মি. গ্রাম, অ্যাসিড (নিকোটিনিক) ০.৫ মি. গ্রাম, রিবোফ্লোবিন থাকে .০৮ মি. গ্রাম, অক্সালিক অ্যাসিড থাকে ৬৫২ মি. গ্রাম।
ক্যালসিয়াম ৭৩ মি. গ্রাম, পটাশিয়াম ২০৮ মি. গ্রা, ভিটামিন-এ আছে ৯৩০০ আই. ইউ, ভিটামিন সি ২৭ মি. গ্রাম, থায়ামিন আছে .০৩ মি. গ্রাম। নিয়মিত পালং শাক খেলে অনেক উপকারিতা পাওয়া যাবে। চলুন জেনে নিই পালং শাকে কী কী উপকার রয়েছে।
- পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন- কে থাকে। আর কে হলো ক্যালসিয়ামের খুব ভালো উৎস। পালংয়ে থাকা ভিটামিন ডি, ফাইবার, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন সি হাড় গঠনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন, লুটেইন, ক্লোরোফিল রয়েছে, যা দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। বয়সজনিত চোখের ক্ষতি রোধ করতেও এটি ভূমিকা রাখে।
- পালং শাকের ভিটামিন এ ত্বকের সুরক্ষা করে। এতে থাকা অন্যান্য উপাদান বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস থেকে শরীরকে রক্ষা করে। পালং শাকে উপস্থিত ভিটামিন-এ চুল পড়া রোধেও ভূমিকা রাখে।
- পালং শাক ভিটামিন-সির চমৎকার উৎস। এটি চোখের নানা রোগ, হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
- পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম থাকায় এটি শরীরকে কর্মক্ষম রাখতে সাহায্য করে। পালং শাক ফলিক এসিডেরও ভালো উৎস। এটি শরীরের শক্তি জোগাতে ভূমিকা রাখে।
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ পালং শাক ক্যান্সার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। বিভিন্ন খনিজে সমৃদ্ধ পালং সুপার ফুড হিসাবে পরিচিত। এতে ক্যালরির পরিমাণ খুব কম থাকায় ওজন কমাতেও এটি ভূমিকা রাখে।