নববর্ষ উদযাপনের অন্যতম অংশ হচ্ছে খাবারের আয়োজন। বাঙালিয়ানা খাবারে সজ্জিত থাকে বাড়ির টেবিল। যার মধ্যে প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে পান্তা ভাত। বাঙালি ঐতিহ্যের একটি অন্যতম খাবার পান্তা ভাত। গরমে আরাম পেতে অনেকেই নিয়মিত পান্তা ভাত খান। তবে পয়লা বৈশাখ উদযাপনে এটি থাকে মূল খাবারের একটি। পান্তা ভাতের সঙ্গে সরিষা তেল, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, লবণ আর মাছ ভাজা দিয়ে খেতে বেশ মজা। তাই পয়লা বৈশাখে খাবারের ঐতিহ্যের অন্যতম হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে পান্তা-ইলিশকেই।
ঐতিহ্যবাহী এই খাবারের পুষ্টিগুণও অনেক। জানেন কি, পান্তা ভাত খেলে কী কী উপকার পাওয়া যায়।
- পান্তা ভাতে আয়রনের পরিমাণ বাড়ে ২১ গুণ। যা আয়রন ডিফিশিয়েন্সি কিংবা এনিমিয়া বা রক্তশূন্যতা কমায়।
- একশগ্রাম পান্তা ভাতে প্রায় তিন ট্রিলিয়ন ভালো ব্যাকটেরিয়া থাকে। যাদের প্রোবায়োটিকস বলে। যা শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে উন্নত করে।
- পান্তা ভাত খেলে শরীরে পটাসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়ামের পরিমাণ বাড়ে।
- পান্তাভাতে ফ্যাটের পরিমাণও কম থাকে। যা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে।
- পান্তা ভাত শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
- পান্তা খেলে পেট ঠান্ডা রাখে। তাই আলসার ভালো হয়। পান্তা ভাত খেলে ক্যানসারের ঝুঁকিও কমে।
- পান্তা ভাত সারাদিনের কর্মক্ষমতা ও এনার্জির যোগান দেয়। এটি নিদ্রাহীনতাও দূর করে।
- পান্তা ভাত ত্বকের জন্যেও উপকারী। এটি কোলাজেনের পরিমাণ বাড়িয়ে ত্বক টানটান রাখে।