শীতের মৌসুমে গাঁদা ফুলের একটি গাছ নিজের বাগানে রোপন করার সাধ কার না জাগে। আর মনকাড়া রঙের এই ফুল যে কত ঔষধি গুণে ভরা, তা অনেকেরই অজানা। আজ জানিয়ে দেব গাঁদা ফুলের কয়েকটি ঔষধি গুণের কথা। যেটি জানার পর বাগানের টবে লাগানোর লোভ সামলানো কঠিন হয়ে যাবে নিশ্চিত। জেনে নেওয়া যাক-
- গাঁদা ফুলে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ফ্যাভনয়েড নামক উপাদান ঠান্ডা, জ্বর, কাশি থেকে দূরে রাখে। এটি মানবদেহের ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধিতে বাধা দেয়।
- গাঁদা ফুলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
- শরীরের কোথাও কেটে গেলে বা ঘা হলে অথবা রক্ত পড়া বন্ধ করতে গাঁদা ফুলের পাতার রস লাগলে রক্ত বন্ধ হয়। এটি ব্যাথা কমিয়ে ক্ষতস্থান দ্রুত শুকিয়ে ফেলে
- এই ফুলের পাপড়ি অল্প পরিমাণ মাখনের সঙ্গে মিশিয়ে টানা কয়েকদিন সকালে খালি পেটে খেলে অর্শ্ব-পাইলসের রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায়।
- কান পাকলে গাঁদা ফুলের পাতার রস কানের ভেতরে কয়েক দিন দিলে কান ভালো হয়ে যায়। এছাড়া ছত্রাক জনিত সমস্যা সারাতেও গাঁদা ফুলের জুড়ি নেই।
- নারীদের ঋতুস্রাবের সমস্যা ও এসময় হওয়া তলপেটের ব্যাথা সারাতে গাঁদা ফুলের চা বেশ কার্যকরী।
- গাঁদা ফুল ভালো করে বেঁটে নিয়ে নারিকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিয়মিত ১০-১৫ দিন লাগালে মাথার খুশকি দূর হয়।
- অর্শরোগ ও কোষ্ঠকাঠিন্যের যন্ত্রণা কমানোর জন্য ১ চা চামচ গাঁদা ফুলের পাঁপড়ির রস মাখনের সঙ্গে মিশিয়ে দিনে দুবার খেলে যন্ত্রণা কমে।
- যক্ষ্মারোগ সারাতে গাঁদা ফুলগাছের পাতা ছায়ায় শুকিয়ে গুঁড়া করতে হবে। এই গুঁড়ো ২৫০ মিলিগ্রাম পরিমাণ একটু দুধের সঙ্গে মিশিয়ে সকালে ও বিকালে খেতে হবে। কয়েকদিন এভাবে খেলে যক্ষ্মা সেরে যাবে।