খেজুরের গুড়ের স্বাদ ও গন্ধে মন ভরে রাখার দিন চলে এসেছে প্রায়। শীতের ভর মৌসুমে তাজা খেজুরের গুড় দিয়ে তৈরি নানা রকমের সুস্বাদু খাবার খাওয়ার আদর্শ সময় এটি। তবে শুধুমাত্র স্বাদ নয় পুষ্টিগুণের দিকে তাকালে এর প্রতি আকর্ষণ একবিন্দুও কমবে না। আমাদের অনেকেরই জানা নেই কত গুণ রয়েছে প্রাকৃতিক এই খাবারটিতে। চলুন আজ জেনে নিই খেজুরের গুড়ের উপকারিতা-
- খেজুরের গুড়ে রয়েছে ক্যালোরিফিক, যা শীতে শরীরকে উষ্ণ রাখে তো বটে, সেইসঙ্গে শরীরে তাপমাত্রা উৎপাদন ও ধরে রাখতে এর তুলনা নেই।
- এটি ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম এবং পটাসিয়ামের খুব ভালো উৎস। যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে এবং সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে।
- নিয়মিত খেজুরের গুড় খেলে রক্ত পরিষ্কার হয়। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখে। ফলে, দূষিত রক্তের কারণে যে সব রোগ হয়, সেগুলো থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
- দশ গ্রাম গুড় থেকে পাওয়া যায় ১৬ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম। প্রতিদিন শরীরে যে পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম প্রয়োজন হয়, তার ৪ শতাংশই আসে গুড় থেকে। স্নায়ুতন্ত্রের প্রক্রিয়া সচল রাখে। ফলে, নার্ভের নানা রোগ প্রতিরোধ করে।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার থাকায় নিয়মিত এই গুড় খেলে হজমের সমস্যা থাকে না। বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য, আমাশার মতো রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- এর আরও একটি চমৎকার গুণ হলো, শীতের খসখসে ভাব থেকে এটি ত্বককে মসৃণ রাখে এবং বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।
- সর্দি, কাশি বা শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যায় খেজুরের গুড় খেলে খুব সহজেই আরাম পাওয়া যায়।
- খেজুর গুড়ে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম ও সোডিয়াম থাকায় এটি পেশিকে শক্তিশালী করে। শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরায়। ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
এটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করাসহ শ্বসনতন্ত্র, পেট, অন্ত্র, ফুসফুস এবং খাদ্যনালীর সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে।
তাই এই শীতের মৌসুমে মনভরে খেজুরের গুড় খেতে পারেন।