যে কারও শরীরেই হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যেতে পারে। পুষ্টিবিদদের মতে, খাদ্যাভ্যাসে সামান্য বদল করলে এই রোগের সঙ্গে লড়াই সম্ভব। চলুন জেনে নিই শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে কী করার উচিত—
হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যাওয়ার লক্ষণ
- দুর্বল লাগা, অবসাদ ও ক্লান্তিবোধ করা
- বুক ধড়ফড় করা।
- মাথা ঘোরা, মাথা ধরা, চোখে ঝাপসা দেখা।
- চোখ, হাত ও পা সাদাটে ও ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া।
- মুখে ঘা, খাবার গিলতে অসুবিধা।
- মাত্রা তীব্র হলে শ্বাসকষ্ট ও হতে পারে, বুকে চাপ লাগা বা ব্যথাও হতে পারে।
- মনমরা ভাব, অনিদ্রা, চোখে অন্ধকার দেখা, খাওয়ায় অরুচি ইত্যাদি।
হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে যা করবেন
- রক্তে আয়রনের ঘাটতি পূরণের জন্য নিয়মিত খাদ্যতালিকায় পালংশাক, ব্রকোলি, বিট, পনির, ডিম, আপেল, তরমুজ, বেদানা, কুমড়ার বীজ, আমন্ড, বীট অ্যাপ্রিকট এবং কিশমিশ খেতে হবে।
- ভিটামিন-সি শরীরে আয়রন শুষে নিতে সাহায্য করে। শরীরে আয়রনের ঘাটতি মেটাতে ভিটামিন-সি আছে এমন খাবার ডায়েটে বেশি করে রাখতে হবে। কমলালেবু, স্ট্রবেরি, পেঁপে, ক্যাপসিকাম, ব্রকোলি, আঙুর এবং টমেটোতে ভিটামিন-সি ভরপুর মাত্রায় থাকে।
- ফলিক অ্যাসিড এক ধরনের ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স যা রক্তে লোহিত কণিকা তৈরিতে সাহায্য করে। সবুজ শাকসব্জিতে প্রচুর মাত্রায় ফোলিক অ্যাসিড থাকে। তাই বেশি করে শাকপাতা ও সব্জি ডায়েটে রাখুন।
- হিমোগ্লোবিন বাড়াতে বিটের রস খাওয়ার পরামর্শ দেন ডাক্তাররা। এতে রয়েছে প্রচুর আয়রন, ফলিক অ্যাসিড, ফাইবার ও পটাশিয়াম।
- দিনে একটি করে আপেল খেয়ে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখতে পারেন। আয়রনের উৎস আপেলে আরো নানা পুষ্টি উপাদান রয়েছে। প্রতিদিন খোসাসহ একটি আপেল খেতে পারেন।
- আয়রন, ক্যালসিয়াম, শর্করা ও আঁশসমৃদ্ধ ডালিম রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করে দেহে রক্ত চলাচল সচল রাখে। প্রতিদিন মাঝারি আকৃতির একটি ডালিম খাওয়ার চেষ্টা করুন।