জীবনযাত্রার অনিয়মের কারণেই সাধারণত কিডনিতে পাথর হওয়ার সমস্যা হয়। তাছাড়া সারাদিন কম পানি পান করা, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাসও কিডনিতে পাথর হওয়ার অন্যতম কারণ। নারী –পুরুষ উভয়ই এই সমস্যা হতে পারে। তবে পুরুষরা এই রোগে বেশি ভোগে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্বের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নারীর তুলনায় পুরুষদের কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বেশি। বিশ্বব্যাপী ৬ শতাংশ নারীর এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে। যেখানে পুরুষদের সংখ্যা রয়েছে ১১ শতাংশ। বিশেষজ্ঞরা জানান, কিছু ভুলের কারণে পুরুষদের কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। যেমন_
পানি কম খাওয়া কিডনিতে পাথর হওয়ার অন্যতম কারণ। পরিসংখ্যান বলছে, পুরুষরা নারীর তুলনায় কম পানি পান করে। পুরুষরা বেশি ডিহাইড্রেশনে ভোগেন। যার কারণে কিডনিতে চাপ বেশি পড়ে। কিডনিতে পাথর জমার ঝুঁকি বাড়ে।
বিজ্ঞানীরা আরও জানান, নারীরের তুলনায় পুরুষরা বেশি অনিয়মিত জীবনযাপনে অভ্যস্ত থাকে। তারা গুছিয়ে চলতে পারে না। নিয়ম করে চলতে পারে না। তাই কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
তাছাড়া মদ্যপানের অভ্যাসেও এগিয়ে রয়েছে পুরুষরা। নারীরা এদিক থেকে অনেকটাই নিরাপদে থাকে। পুরুষরা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা কিংবা কোনো অনুষ্ঠানে মদ্যপান করে। আবার অনেকে পুরুষ নিয়মিতই মদ্যপানে অভ্যস্ত। তাদের কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
এদিকে বিশেষজ্ঞরা সর্বজনীনভাবে সতর্ক করে জানান, মূলত ক্যালসিয়াম জমে কিডনিতে পাথর তৈরি হয়ে থাকে। ক্যালসিয়াম অক্সালেট আছে এমন খাবার বেশি খাওয়া উচিত নয়। এই তালিকায় খেজুর, বেরি, কামরাঙা, পালং শাক, বিট, গাজরের নাম রয়েছে। যেগুলোতে প্রচুর ক্যালসিয়াম অক্সালেট থাকে। এসব খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়। এছাড়াও অতিরিক্ত লবণ ও মসলাজাতীয় খাবারও কিডনিতে পাথর জমাতে পারে। তাই স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস এই রোগ থেকে রেহাই দিতে পারে।
সূত্র: অর্ল্যান্ডো হেলথ