ঋতুস্রাব নারীদের সাধারণ প্রক্রিয়া। বয়স বাড়ার সাথে সাথে নারীদের এই ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যায়। যাকে মেনোপজ বলা হয়। নারীদের একটি বয়সের পর ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং এরপরই নারীদের শরীরে পরিবর্তন আসা হলো মেনোপজ। ঋতুস্রাব বন্ধের এই প্রক্রিয়ার ফলে নারীরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতেও পড়ে।
অনেক নারীর ঋতুস্রাব অনিয়মিত থাকে। তাই মেনোপজের সময়টি বুঝতে সমস্যা হয়। কারণ এটি নিয়ে সঠিক ধারণা থাকে না। তবে মেনোপজে একাধিক শারীরিক উপসর্গেই বোঝা যায়। শরীরের এমন কিছু উপসর্গ রয়েছে যা প্রিমেনোপজালের সময় থেকে শুরু হয় এবং পোস্ট মেনোপজ পর্যন্ত থাকে।
বিশেষজ্ঞরা জানান, নারীদের ৪০ থেকে ৫০ বছর হলেই মেনোপজ হয়। কোনও নারীর যদি পরপর ১২টি ঋতুস্রাব বন্ধ থাকে তবে তা মেনোপজ বলে ধরে নিতে হবে। এক্ষেত্রে জিনগত বৈশিষ্ট্য, শারীরিক অবস্থা ও নিয়মিত ওষুধ সেবন করাও দ্রুত মেনোপজের কারণ হতে পারে।
মেনোপজ কখন হয়
নারীদের ডিম্বাশয়ে যখন ডিম্বাণু উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় এবং শরীরে ফিমেল সেক্স হরমোনের মাত্রা কমে যায় তখনই মেনোপজের সময় শুরু হয়।
মেনোপজের উপসর্গ
- শরীরের হরমোন পরিবর্তনের কারণেই মেনোপজ হয়। হরমোন পরিবর্তনের কারণে অনিয়মিত ঋতুচক্র হয়। এছাড়াও ঋতুচক্রের সময় অতিরিক্ত বা কম রক্তপাত হওয়ার লক্ষণ থাকে।
- অনেক নারীর মেনোপজের সময় গরম অনুভূত হওয়া বেড়ে যায়। শরীরের বিভিন্ন অংশ, বিশেষত ঘাড়, মুখাবয়ব এবং বক্ষ অংশে বেশি গরম অনুভূত হয়। অতিরিক্ত ঘামও হয়।
- মেনোপজের সময়ের আগে ভ্যাজাইনাল ড্রাইনেসের অভিজ্ঞতা হতে পারে।
- মেনোপজের আগে ব্লাডার কন্ট্রোল কমে যায়। সামান্য হাঁচি, কাশি বা হাসার সময় মূত্রপাত হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও স্বাভাবিক মূত্রের বেগ ধরে রাখাও কষ্টকর হয়ে যায়।
- মেনোপজ হলে মুড স্যুইং-য়ের সমস্যাও দেখা দেয়। রেগে যাওয়া, মেজাজ খিটখিটে হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়।
- মেনোপজের আগে চুল ও ত্বকের সমস্যাও দেখা যায়। এমনকি শরীরের নানা অংশে মেদ জমতে থাকবে।
- মেনোপজের সময় নারীদের শরীরে মাথাব্যথা, শরীরের গাঁটে গাঁটে ব্যথা, সেক্স ড্রাইভ কমে যাওয়ার যায়। এছাড়াও স্মৃতিশক্তি বিঘ্নিত হওয়ার মতো উপসর্গও দেখা যায়।