প্রচন্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। এসময় ক্লান্ত শরীর খুঁজে পানীয়। এসব পানীয়ের মধ্যে টাটকা পাওয়া যায় ডাবের পানি কিংবা আখের রস। ডাবের পানি ও আখের রসে রয়েছে নানান ধরণের পুষ্টিকর উপাদান। আখে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। দেহের টক্সিন নির্মুল করে প্রচুর এনার্জি বুস্ট করবে এই সুস্বাদু পানীয়। শুধু তাই নয়, আখের রসে প্রচুর ফাইবার এবং মাইক্রো-মিনারেলস রয়েছে। অন্যদিকে ডাবের পানিতে রয়েছে অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ। এ ছাড়া আছে ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, ক্যালশিয়াম, ফাইবার এবং ডাই-ইউরেটিক উপাদান। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই দুই পানীয় নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে নানা ধারণা রয়েছে। গরমে প্রাণ জুড়োতে ডাবের জল খাবেন না কি আখের রস? পুষ্টির দিক থেকে কোনটি এগিয়ে?
আখের রসে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম, কপার, ম্যাঙ্গানিজ়, পটাশিয়াম, বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং সহজপাচ্য ফাইবার। এই পানীয়ের মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক শর্করা। যা ক্লান্ত শরীরে তৎক্ষণাৎ চনমনে ভাব এনে দিতে পারে। বিশেষ করে যারা শরীরচর্চা করেন, তাদের জন্য আখের রস বিশেষ প্রয়োজন। ২৫০ মিলিমিটার আখের রসে ক্যালোরির পরিমাণ ১৮৩। শর্করার পরিমাণ প্রায় ৫০ গ্রাম। ফলে
অন্য দিকে, শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য নষ্ট হলে কিংবা শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দিলে চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ, সকলেই ডাবের জল খাওয়ার পরামর্শ দেন। ডায়েরিয়া, হিট স্ট্রোক, অতিরিক্ত ক্লান্তি কিংবা দুর্বলতা কাটাতে এই পানীয়ের জুড়ি মেলা ভার। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ২৫০ মিলিলিটার ডাবের জলে ক্যালোরির পরিমাণ মাত্র ৪৬। প্রাকৃতিক শর্করা রয়েছে ১০ গ্রামের মতো।
দেখা যাচ্ছে পুষ্টির দিক থেকে ডাবের পানির চেয়ে আখের রস ভাল। কারণ আখের রসে ক্যালরি এবং শর্করার পরিমাণ বেশি।
তবে যাদের স্থূলত্ব সংক্রান্ত সমস্যা এবং রক্তে শর্করার পরিমাণ বেশি তাদের নিয়মিত আখের রস খেতে বারণ করা হয়। কারণ এতে রক্তে শর্করা বেড়ে যাবে।
আবার যাদের রকচাপ কম তারা ডাবের পানি খেতে পারবেন না কারণ ডাবের পানিতে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি। কিডনির সমস্যা থাকলেও ডাবের পানি বেশি খাওয়া যায় না। ডায়াবেটিকরাও যে রোজ নিশ্চিন্তে এই পানীয় খেতে পারেন, তেমন আশ্বাস পুষ্টিবিদেরাও দেন না। পাশাপাশি, এটাও মাথায় রাখতে হবে যে, ডাবের পানি বা আখের রস কিন্তু সাধারণ জলের বিকল্প হতে পারে না। সারা দিনে অন্তত পক্ষে ৭ থেকে ১০ গ্লাস জল খাওয়ার পর, শারীরিক অবস্থা বুঝে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে পানীয় খেতে পারেন