মিষ্টি খাবার খেলেই রক্তে শর্করা বেড়ে যায়। যাদের মিষ্টি পছন্দ তাদের তো যে কোনো অজুহাতেই তা খেতে হয়। শরীরে রোগ থাকলেও চুপি চুপি মিষ্টি খাচ্ছেন। তাদের জন্য সুখবর দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। পুষ্টিবিদদের মতে, মিষ্টি খেলে শর্করা বাড়ে। কিন্তু নিয়ম করে মিষ্টি খেলে তাতে শর্করা বাড়বে না। এর জন্য দিনের নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। যে সময় মিষ্টি খাওয়া নিরাপদ।
মিষ্টি খেলে রক্তে শর্করা বাড়বে না এটা অবশ্যই সুখবর। তবে বাড়তি শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে মিষ্টিজাতীয় খাবার বা পানীয় খাওয়ার নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। যা খেয়াল রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পুষ্টিবিদরা জানান, সকালে কিংবা দুপুরে যখনই চিনি দেওয়া খাবার খান না কেন তার নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। আয়ুর্বেদ চিকিত্সার এই কথা স্পষ্ট জানানো হয়েছে। তাই মিষ্টিজাতীয় খাবারের ক্ষতি এড়াতে চাইলে সঠিক সময় মেনে খেতে হবে।
মিষ্টি খাওয়ার সঠিক সময় কোনটি?
পুষ্টিবিদেরা জানান, মিষ্টি কিংবা মিষ্টিজাতীয় খাবার যখনই খাবেন ভরা পেটে খেতে হবে। খালি পেটে তা একেবারেই খাবেন না। খালি পেটে মিষ্টিজাতীয় খাবার খেলেই রক্তে শর্করা বাড়বে। যা সামলানো কষ্টকর হয়ে যাবে। তবে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং ফাইবারের মতো খাবারের সঙ্গে মিষ্টিজাতীয় কিছু খেলে ক্ষতি কম হয়।
সকালের নাস্তা, দুপুর কিংবা রাতের খাবার এই বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। শুধু রসগোল্লা, কেক, পেস্ট্রির মধ্যেই চিনি রয়েছে তা নয়। নরম ঠান্ডা পানীয়, প্যাকেটজাত কিংবা প্রক্রিয়াজাত খাবারসহ অনেক খাবারেই এখন চিনি দেওয়া হয়। সারা দিন কী খাচ্ছেন এবং কতটা পরিমাণ খাচ্ছেন তা খেয়াল রাখা জরুরি। কারণ এর উপর শর্করার মাত্রা নির্ভর করে। তাই পরিমিত খাবার খাওয়াই শ্রেয়।
পুষ্টিবিদরা আরও জানান, সাধারণত খাবারের পরপর মিষ্টি খেতে পছন্দ করেন অনেকে। এক্ষেত্রে দুপুরে খাবার খাওয়ার পর মিষ্টি খেলে ক্ষতির আশঙ্কা কম থাকে। এই সময় খাবারের বিপাকক্রিয়া ভাল থাকে। শারীরও সক্রিয় থাকে। তাই মিষ্টিজাতীয় খাবার দ্রুত শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। কিন্তু রাতের সময় মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া একদমই ঠিক নয়। রাতে বিশ্রামের সময়। এই সময় মিষ্টি খেলে রক্তে শর্করা বেড়ে যায় দ্রুত। অন্যদিকে সকালের নাস্তায় মিষ্টি খাবার খেতে পারেন। তবে তা খালিপেটে খাওয়া উচিত হবে না। বরং যখনই মিষ্টিজাতীয় খাবার খাবেন ভরা পেটেই খেতে হবে। এতে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ থাকবে।
