প্রতিবন্ধকতা একধরনের নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার, যাতে আক্রান্ত বাচ্চা ঠিকমতো কথা বলতে বা সাধারণ বাচ্চাদের মতো বেড়ে উঠতে পারে না। তবে জন্ম থেকেই বাচ্চার এমন অ্যাবনরমালিটি দেখা দেবে, এমন নয়। এসব ক্ষেত্রে সাধারণত ৩ বছরের পর থেকে প্রকাশ পেতে শুরু করে নানা অসুবিধা। যেমন, বাচ্চা ঠিকমতো কথা বলতে পারে না, অনেক সময় চলাফেরা করতেও অসুবিধা দেখা দেয় ইত্যাদি। সাধারণত জিনগত কারণে এই রোগ হয়ে থাকে। আরও অনেক কারণে এমনটা হতে পারে। যেমন প্রেগনেন্সির সময় জটিলতা, অপুষ্টি, ক্রোমোজোনাল অ্যাবনরমালিটি প্রভৃতি। এ ধরনের বাচ্চাদের জন্য সবচেয় বাবা মাকেই বেশি দায়িত্ব নিতে হয়। চলুন তাহলে জেনে নিই প্রতিবন্ধী শিশুদের যত্নে কী কী করা উচিত—
- আপনার বাচ্চা অনেক ধরনের আবদার করবে। সব হয়তো মেনে নেওয়া আপনার পক্ষে সম্ভবও হবে না, কিন্তু মাথা ঠান্ডা রাখবেন। ভুলে যাবেন না সে অনেক কিছুই না বুঝে করছে। সেই সঙ্গে আপনার বাচ্চার কী কী ক্ষেত্রে অসুবিধা হচ্ছে তা জানার চেষ্টা করবেন।
- প্রতিবন্ধী শিশুদের পড়াশোনার জন্য় বিশেষ স্কুল আছে। সেখানে বাচ্চাকে ভর্তি করে দিন। স্কুলে ভর্তি করে দিলেই কিন্তু আপনার দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। সে যাতে ঠিকমতো স্পেশাল কেয়ার পায়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে কিন্তু!
- তাদের রাস্তা-ঘাটে অনেকে উত্যক্ত করে। এদিকে বাবা-মাকে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ প্রতিবন্ধী শিশুরা তাদের রাগ বা দুঃখ প্রকাশ করতে পারে না।
- নিদিষ্ট সময় অন্তর অন্তর বাচ্চাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাবেন। ঠিকমতো চিকিৎসা পেলে দেখবেন তার রোগের লক্ষণ অনেক নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
- প্রতিবন্ধী বাচ্চা যাদের রয়েছে, তারা আরেকটি বাচ্চা নেওয়ার আগে ভালো করে ভাববেন। কারণ, অ্যাবনরমাল বাচ্চাদের খেয়াল রাখতে অনেকটা সময় চলে যায়। তাই আরেকজন বাচ্চাকে বড়ে করে তোলার মতো সময় আপনার হাতে আছে কি না, তা দেখে নিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নেবেন।
- আপনার বাচ্চাকে কখনই মনে হতে দেবেন না যে সে আর পাঁচজনের মতো নয়। প্রতিদিন তাকে সময় দিন। তার কথা শুনুন। খেলাধুলো করেন। এমনটা করলে দেখবেন হাজারো অসুবিধা সত্ত্বেও আপনার বাচ্চার মধ্য়ে সুস্থ ও সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার আশা জন্মাবে
- মনে রাখবেন, সব শিশুই এক। তাই সবারই সুন্দরভাবে ভালোবাসায় বেঁচে থাকার সম-অধিকার আছে। কাউকেই অবহেলায় রাখবেন না। ভালোবাসুন আপনার সন্তানকে।