বর্ষা মৌসুমের জনপ্রিয় সবজি কাঁকরোল। রঙিন এই সবজি খেতেও মজা এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর। অনেকের পছন্দের তলানিতে থাকা এই সবজিটি বেশ পুষ্টিকর। বলেন, কাঁকরোলে প্রচুর ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, লুটেইন, জেনান্থিন থাকে। এসব উপাদান শরীরের রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ, ওজন কমানো সহ আরও অনেক উপকার করে। তাই এসময় সুস্থ থাককে চাইলে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কাঁকরোল রাখুন।
রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করে
নিয়মিত কাঁকরোল খেলে রোধ করা যাবে রক্তশূন্যতা। কারণ কাঁকরোলে প্রচুর আয়রন থাকার পাশাপাশি ভিটামিন সি ও ফলিক এসিড থাকে। এগুলো রক্তের হিমোগ্লোবিনের সংখ্যা বাড়ায়। এ কারণে নিয়মিত এটি খেলে রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
কাঁকরোল ফাইবার সমৃদ্ধ সবজি হাওয়ায় হজমে সহায়ক। এটি পরিপাক ক্রিয়া উন্নত করতে কাজ করে। নিয়মিত কাঁকরোল খেলে তা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে কাজ করে। তাই এ ধরনের সমস্যা থাকলে কাঁকরোল খান।
কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়
যাদের কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি বা যাদের উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল রয়েছে তারা নিশ্চিন্তে কাঁকরোল খেতে পারেন। এটি উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল ডিএইচএলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
ওজন কমায়
শরীরে ভিটামিন সি-র পরিমাণ কম থাকলে ফ্যাট বার্নিং কম হয়ে। তাই আপনি যদি ওজন কমাতে চান, তাহলে নিয়মিত কাঁকরোল খান। কারণ কাঁকরোলে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি রয়েছে, যা মেদ ঝরাতে সাহায্য করে।
দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক
কাঁকরোলে বিটা ক্যারোটিন থেকে শুরু করে একাধিক উপকারী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে। আর এ উপাদানগুলো আপনার চোখ ভালো রাখতে সহায়ক। এ ছাড়া নিয়মিত এ সবজি খেলে বয়সজনিত চোখের সমস্যাও এড়িয়ে যাওয়া যাবে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে
কাঁকরোলের রয়েছে হাইপোগ্লাইসেমিক গুণাগুণ। এটি অগ্নাশয়ের বিটাসেলকে সুরক্ষিত রাখে ও পুনর্গঠনে সাহায্য করে। এছাড়া এটি ইন্সুলিন নিঃসরণ ও সংবেদনশীলতা বাড়ায়, যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
হার্টের সমস্যা দূর করে
যেহেতু কাঁকরোলে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, তাই এটি হার্টের রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। সক্রিয় জীবনযাপনের পাশাপাশি কাঁকরোল খাওয়া হৃদস্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী।
তারুণ্য ধরে রাখে
কোষের কাজকে উদ্দীপিত করে এবং স্ট্রেস কমানোর মাধ্যমে ত্বকের বয়স বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে ধীর করতে সাহায্য করে কাঁকরোল। কারণ এতে থাকে বিভিন্ন ধরনের ফ্ল্যাভনয়েড। যেমন- বিটা ক্যারোটিন, আলফা ক্যারোটিন, লুটেইন, জিয়াজেন্থিন ওকোলাজেন থাকে যা অ্যান্টি অ্যাজিং উপাদান হিসেবে কাজ করে; ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তেও বাধা দেয়।
শরীর শীতল রাখে
কাঁকরোলে রয়েছে প্রচুর মিনারেল। বর্ষাকালেও ভ্যাপসা এক ধরনের গরম থাকে। এই গরমে শরীর শীতল রাখার জন্য খেতে পারেন কাঁকরোল। কারণ এসময় কাঁকরোল খেলে তা শরীরকে ভেতর থেকে শীতল রাখতে কাজ করে।