• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মায়ের জ্বর হলে শিশুকে ব্রেস্ট ফিডিং করানো কি উচিত?


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ২৬, ২০২৪, ০৮:৪৩ পিএম
মায়ের জ্বর হলে শিশুকে ব্রেস্ট ফিডিং করানো কি উচিত?
যেকোনো পরিস্থিতিতেই বুকের দুধ খাওয়ানো বন্ধ করা যাবে না। ছবি: সংগৃহীত

নবজাতক শিশুরা ৬ মাস পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধ পান করে। চিকিত্সকরা  কঠোরভাবে নির্দেশ দেন, প্রথম ৬ মাস শিশুকে অন্য খাবার দেওয়া যাবে না। শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধই খাবে। যেখানে শিশুর সব ধরণের পুষ্টি পাবে। এই সময় শিশুর শরীরকে হাইড্রেড করতেও মায়ের দুধের বিকল্প নেই। তবে এই সময়ে যদি মা অসুস্থ থাকেন, মায়ের জ্বর, সর্দি-কাশি হয় তবে কি শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো যায়। এটি কতটা নিরাপদ সেই বিষয়ে অনেকেরই প্রশ্ন রয়েছে।

বুকের দুধ পানে শিশুর মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশ হয় বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। সেই সঙ্গে শিশুর দৃষ্টিশক্তি ভালো হয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। নানা ধরণের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পায় শিশু। কিন্তু মায়ের অসুস্থতা থেকেই যদি সংক্রমণ ছড়ায় তবে তো বিপত্তি ঘটে।

বিশেষজ্ঞরা জানান, বুকের দুধ পানের সময়কালে মায়ের জ্বর, সর্দি-কাশি হতে  পারে। মায়েদের ধারণা, এই অবস্থায় বুকের দুধ পানে শিশুর শরীরেও ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। এটা ভ্রান্ত ধারণা। বরং জ্বর, সর্দি, কাশি নিয়েও সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানো যাবে। এটি সম্পূর্ণ নিরাপদ। দুধের মাধ্যমে মায়ের থেকে সন্তানের দেহে ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া পরিবাহিত হয় না। বরং যে সংক্রমণের বিরুদ্ধে মায়ের দেহে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে তা বুকের দুধের মাধ্যমে শিশুর শরীরে প্রবেশ করে। যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়ার শক্তি পায় শিশুরা। তাই জ্বর হলেও সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।

তবে এক্ষেত্রে কিছু সাবধানতার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, বুকের দুধের মাধ্যমে সংক্রমণ না ছড়ালেও মায়ের নিশ্বাস বা হাঁচি-কাশির মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। তাই দুধ পানের সময় কিংবা অন্যান্য সময়ও অসুস্থ মাকে মাস্ক পরে নিতে হবে। এতে ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া হাঁচি-কাশির মাধ্যমে শিশু দেহে প্রবেশ করতে পারবে না। তাছাড়া বুকের দুধ খাওয়ানোর আগে মায়েদের অবশ্যই ভালোভাবে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে। নয়তো মায়ের সর্দি-কাশিতে শিশুও সংক্রমিত হতে পারে। কিন্তু বুকের দুধ পানের মাধ্যমে সেই সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করা সহজ হয় শিশুদের।

অনেক সময় জ্বর, সর্দি-কাশি কমাতে মায়েদের অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হয়। এখানে বিশেষজ্ঞরা জানান, ওষুধ খাওয়ার সময়ও দুধ পান বন্ধ করা ঠিক হবে না।  মায়ের জন্য এই সময় অ্যান্টিবায়োটিক নিরাপদ। তা যদি বুকের দুধের মাধ্যমে শিশুর শরীরে অল্প মাত্রায় যায় তাতেও ক্ষতি হয় না। তাই যেকোনো পরিস্থিতিতেই বুকের দুধ খাওয়ানো বন্ধ করা যাবে না।

মায়ের থেকে সন্তান সংক্রমিত হলে সেক্ষেত্রে কী করা যাবে এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা জানান, সন্তান অসুস্থ হলে আরও বেশি করে বুকের দুধ পান করাতে হবে। এটি শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে। তাই যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

Link copied!