ঈদের আমেজ এখনও কাটেনি। ঈদের ছুটি শেষে কর্মব্যস্ততা শুরু হয়েছে। কিন্তু ঈদ পরবর্তী দাওয়াত কিন্তু এখনও শেষ হয়নি। পরিবারের সবাই একসঙ্গে ছুটির দিনগুলোও উপভোগ করছেন। আর খাওয়া দাওয়া হচ্ছে পেট ভরে। কোরবানির ঈদে খাওয়া দাওয়াটা একটু বেশি হয়। কোরবানির মাংসের নানা পদের রান্নার স্বাদ নিতে নিতে খাওয়া দাওয়ায় যেন লাগামই টানা যায় না। অন্যদিকে ওজন নিয়ে পড়তে হয় বিপাকে। এই ঈদে কমপক্ষে এক-দুই কেজি ওজন তো বাড়েই। যারা ফিগার সচেতন তারাও সব ভুলে এই ঈদে মাংস খাওয়ায় ঝুঁকে যান। কিন্তু ওজন বাড়লে তো তা কমাতেও হবে। ঈদের আমেজ শেষে এবার বাড়তি ওজন নিয়ে ভাবতে শুরু করুন।
যাদের অতিরিক্ত ওজন বেড়ে গেছে তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করুন। অনেকেই মনে করেন, ঈদের কয়েকদিন খেলে তো আর কিছু হবে না! কিন্তু ওজন যে বেড়েছে তা নিয়ন্ত্রণ করতে কষ্ট কিন্তু আপনাকেই করতে হবে। তাই ঈদের আমেজ শেষে এবার কয়েকটি বিষয়ে সচেতন হয়ে ওজনকে নিয়ন্ত্রণ করুন।
- প্রথমেই ওজন পরীক্ষা করে নিতে হবে। ঈদ পরবর্তী সময়ে ওজন পরীক্ষা করে নিন। ওজন যদি সামান্য বেড়ে যায় তবে চিন্তার কারণ নেই। একটু ডায়েটেই তা নিয়ন্ত্রণ হয়ে যাবে। কিন্তু ওজন যদি বেশি বেড়ে যায় তবে নিয়ন্ত্রণ করার আয়োজনটাও বেশ জোড়ালো করতে হবে। তাই ওজন আগে কত ছিল আর এখন কত হয়েছে তা দেখে নিন।
- নিয়মিত ব্যায়াম করার অভ্যাস অনেকেরই রয়েছে। ঈদের পর নিয়মিত ব্যায়ামের সময় প্রতি সেশনে ১৫ মিনিট বাড়িয়ে দিন। কিন্তু যারা ব্যায়াম করেন না তারা এবার এই অভ্যাস করে ফেলুন। কারণ ওজন নিয়ন্ত্রণে কিছুটা ব্যায়াম তো করতেই হবে।
- পানি পানের নিয়মটা ঠিক রাখুন। গরমের সময় দিনে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। অন্তত ৩-৪ লিটার পানি পান করুন। পর্যাপ্ত পানি পানে খাবার দ্রুত হজম হবে।
- গ্রীষ্মকালে প্রচুর মৌসুমী ফল পাওয়া যায়। সারাদিনে অন্তত দুটি মৌসুমি ফল খান। ভাতের প্রতি আসক্তিটা কমিয়ে দিন। মৌসুমী ফল খেয়েই তৃপ্তি পাবেন।
- ঈদের পর কমবেশি সবার বাড়ির ফ্রিজেই মাংস সংরক্ষণ করা থাকে। তাই বলে প্রতিদিনই মাংস রান্না করে খেতে হবে তা কিন্তু ঠিক নয়। সপ্তাহে দুই একদিন মাংস রান্না করে খান। আর বাকি দিনগুলোতে সালাদ, মাছ, সবজি খেতে পারেন। মাঝারি আকারের এক বাটি করে সালাদ খাবেন। ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
- মাংসের যেকোনো পদই খান না কেন এরপর অবশ্যই লেবু খেয়ে নিন। দিনে অন্তত একটা লেবু খাওয়া অভ্যাস করুন। লেবু শরীরে ভিটামিন সি চাহিদা পূরণ করবে। আবার ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখবে।
- প্রয়োজনের বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। বয়স অনুযায়ৗ কতটুকু মাংস খাওয়া যেতে পারে তা নিয়ে সঠিক ধারণা রাখুন। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী ডায়েট চার্ট ফলো করুন। ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
সূত্র: হেলথলাইন