পেটের উপরিভাগের ডান দিকে ছোট নাশপাতিসদৃশ অঙ্গ পিত্তথলি। পিত্তথলি থেকে নিঃসৃত পিত্তরস খাবার হজমে সাহায্য করে। নানা কারণে এই পিত্তথলিতে পাথর জমেতে শুরু করে এবং দেশে এটি একটি বড় সমস্যা। খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম, শরীরচর্চা না করা, নেশার অভ্যাস এই রোগের কারণ হয়ে উঠছে। বিভিন্ন বয়সের মানুষই এখন এই সমস্যায় ভুগছেন, তবে ৩০-৪০ বছর বয়সে ঝুঁকি বেশি থাকে।
পিত্তথলিতে পাথরের সমস্যায় অনেকেই ভুগছেন। আর এই সমস্যায় বেশিরভাগই অপারেশন করতে হয়। পিত্তথলিতে পাথর হলে অনেকেই দ্বিধায় পড়ে যান, অস্ত্রোপচার করাবেন নাকি করাবেন না। আবার অস্ত্রোপচার করালে কীভাবে করাবেন—ল্যাপারোস্কপির মাধ্যমে নাকি পেট কেটে। তবে যেভাবেই করানো হোক না কেন অস্ত্রোপচারের পরেও দ্রুত শরীর সারিয়ে তোলার জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয় ।
- পরিমিত খাবার, জীবনযাপনে কিছুটা সংযম জরুরি। ভাজা, তেল-মশলাদার খাবার একেবারেই চলবে না। তাড়াতাড়ি সুস্থ হতে চাইলে বাইরের খাবার যেমন- পিৎজ়া, বার্গার, প্রক্রিয়াজাত মাংস, বেশি চিনি দেওয়া খাবার খাওয়া চলবে না।
- অপারেশনের পর এক থেকে দেড় মাস চর্বিজাতীয় খাবার যেমন- ডিমের কুসুম, তেল-চর্বি বা মাংস, যেগুলোতে চর্বি আছে বা রেড মিট যেগুলো আছে সেসব বাদ দিতে হবে।
- ধূমপান, অ্যালকোহলের নেশা বাদ দেওয়া উচিত।
- অস্ত্রোপচারের পর কিছু দিন তরল খাবারেই ভরসা রাখুন। দুধ, ছানা, দই খাওয়া যেতে পারে। তবে ক্রিম না খাওয়াই ভাল।
- চা বা কফিতে ক্যাফিন থাকায় সমস্যা বাড়াতে পারে। কাজেই অস্ত্রোপচারের পরে চা বা কফি মেপে খাওয়াই ভাল।
- ফাইবারে সমৃদ্ধ খাবার রাখুন খাদ্যতালিকায়। যেমন, সবুজ শাকসব্জি, আটা বা জোয়ার-বাজরার রুটি, ব্রাউন ব্রেড, পিনাট বাটার খেতে পারেন। বিভিন্ন রকম বাদাম, অ্যাভোক্যাডো খেতে পারেন।
- সুষম খাবারের পাশাপাশি হালকা ব্যায়াম করাও জরুরি। সুষম খাবারের পাশাপাশি হালকা ব্যায়াম করাও জরুরি। পিত্তথলির পাথর তাদেরই বেশি হয়, যাদের বাড়তি ওজনের একটি বিষয় আছে। যদি নিয়মিত ব্যায়াম করা যায় তাহলে স্থূলতাও কমবে।
সূত্র: আনন্দবাজার