আমাদের শরীরে অনেকগুলো গ্রন্থি আছে, এগুলো আমাদের শরীরে একটা নির্দিষ্ট কাজ করতে সহায়তা করে। থাইরয়েড তেমনি একটা গ্রন্থি। এই গ্রন্থির কাজ মূলত আমাদের শরীরের কিছু অত্যাবশকীয় হরমোন (থাইরয়েড হরমোন) উৎপাদন করা। শরীরে এই থাইরয়েড হরমোনের আবার একটা নির্দিষ্ট মাত্রা আছে। নির্দিষ্ট মাত্রার চাইতে কম বা বেশি হরমোন উৎপাদিত হলেই শরীরে এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। আর আমাদের দেশে এই সমস্যা প্রকট। যারা এরই মধ্যে থাইরয়েডের সমস্যায় পড়েছেন, তাদের দীর্ঘদিন ধরে ওষুধ খেতে হয়। তবে শুধু ওষুধ খেলেই হয় না, নিয়ম মেনে ওষুধ খেতে হয়। তাতেই হবে কাজ নয়ত খাওয়াটাই হবে কোনো উপকার আর হবে না।
- ডাক্তারের পরামর্শ মতো ওষুধ খেতে হবে। তবে ওষুধ খাওয়ার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময় মেনে সকালের খাবার খাওয়ার আগে খেতে হবে। সকালের ওষুধটা সকাল ৮টায় খেলে প্রতিদিন ৮টাতেই খেতে হবে। একদিন ৮টায় খেলে আরেক দিন ১০টায় খাবেন তা হয় না। নির্দিষ্ট সময়ে খেলেই ভালো থাকবেন।
- থাইরয়েডের ওষুধ খাওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে কোনো কিছু খাবেন না। এমনকি ওষুধ খাওয়ার তিন ঘণ্টার মধ্যে উচ্চ মাত্রার ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না।
- থাইরয়েড ওষুধ খাওয়াকালীন কোনো সাপ্লিমেন্ট যেমন আয়রন, ক্যালসিয়াম বা ভিটামিনের ওষুধ ভুলেও খাবেন না।
- যেহেতু এই সমস্যায় সব সময় ওষুধ খেতে হয় তাই নির্দিষ্ট সময় পর পর পরীক্ষা নিরীক্ষা করে হরমোনের মাত্রা অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করতে হবে। আর এসব কিছুই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী করতে হবে।