চিনির ক্ষতিকর দিক নিয়ে আছে নানা কথা। এই কারণে অনেকে চিনি খাওয়া ছেড়েই দিয়েছে বলা যায়। পুষ্টিবিদরা বলছেন পরিমিত চিনি খাওয়া যাবে। তবে সেটি কৃত্রিমভাবে।
সম্প্রতি একটি গবেষণায় উঠে এসেছে প্রতিদিন নারীর ক্ষেত্রে ছয় চা-চামচ এবং পুরুষের জন্য নয় চা-চামচের কম চিনি গ্রহণ করা উচিত। তাই চিনি নিয়ে প্রচলিত ধারণাগুলো সম্পর্কে পরিষ্কার থাকা দরকার।
বিকল্প হিসেবে কৃত্রিম চিনি ভালো
যেসব খাবারে প্রাকৃতিক চিনি থাকে, চিনি গ্রহণের ক্ষেত্রে সেগুলো হিসেব করার দরকার নেই। প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম চিনি নিয়ে নানা ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। ম্যাপল সিরাপ, মধু বা খেজুর থেকে তৈরি সিরাপ- প্রক্রিয়াজাত চিনির স্বাস্থ্যকর বিকল্প হিসেবে ধরা হয়। ওটমিল বা চায়ের সঙ্গে এসব মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। তবে এ ধরনের প্রাকৃতিক চিনিও পরিমাণমতো খেতে হবে।
বাজার থেকে কেনা ফল দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ‘বার’-এ প্রাকৃতিক চিনিই থাকবে। তবে স্বাদ বাড়াতে যদি বাড়তি চিনি যোগ করা হয়, তখন মিষ্টি পরিমাণ বেড়ে যাবে। আবার বিস্কুটের প্যাকেটে গ্লুটেন ফ্রি লেখা থাকলেও চিনির পরিমাণটা দেখে নিতে হবে। তবে নিউ ইয়র্কের পুষ্টিবিদ সামান্থা ক্যাসেটি বলেন, “বাজারে রঙিন ও স্বাদ বৃদ্ধির উপাদান মিশিয়ে নানা ধরনের দই বিক্রি হয়। সেগুলোতে কী পরিমাণ চিনি মেশানো হয়েছে তা মোড়ক দেখেই বুঝে নিতে হবে। সেখানে চিনি বা চিনিজাতীয় উপাদান থাকবেই। আইসক্রিমের ক্ষেত্রেও একই বিষয় বিবেচনা করতে হবে। আর এই ধরনের খাদ্যাভ্যাসের কারণে বাড়তে পারে প্রদাহ, কোলেস্টেরল। হতে পারে ডায়াবেটিস। কমতে পারে ভালো কোলেস্টেরল ‘এইচডিএল’য়ের মাত্রা।”
ক্যাসেটি আরও বলেন, “ফলে থাকা চিনি আসে প্রাকৃতিকভাবে। পাশাপাশি থাকে ভিটামিন, খনিজ, আঁশ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।”
সুতরাং প্রাকৃতিকভাবে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে পাওয়া চিনি নিঃসন্দেহে গ্রহণ করা যাবে। তবে সেটা অবশ্যই পরিমিতভাবে।