মা হওয়া প্রত্যেক নারীই স্বপ্ন থাকে। শারীরিক জটিলতা না থাকলে নারীরা যথাসময়েই স্বাভাবিকভাবে মা হন। তবে অনেক সময় বয়সও নারীদের মা হওয়ার বাধা হয়ে। বিশেষ করে, বয়স ৩০ হলে নারীদের জন্য গর্ভবতী হওয়া একটু মুশকিলই বটে। এই সময়টাতে নারীদের বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। যে কারণে ৩০ উর্দ্ধো অনেক নারী চাইলেই গর্ভবতী হতে পারেন না। যদিও সবার ক্ষেত্রে সমীকরণ এক নয়। কেউ কেউ আবার কোনো জটিলতা ছাড়াই গর্ভবতী হচ্ছেন। তাই গর্ভবতী হওয়ার পুরোটাই নির্ভর করে কোন নারী কতটা ফিট।
অধিকাংশ মেয়েই এখন বেশি বয়সে মা হচ্ছেন। কারণ মেয়েরা এখন ক্যারিয়ার সচেতন। আবার লেখাপড়া শেষ করে এরপর বিয়ে করছেন অনেকে। এরপর কিছু বছর বিরতি দিয়ে গর্ভবতী হতে চান অনেকে। বেলা গড়িয়ে অনেক সময় পেরিয়ে যায়। এরপর ৩০-এর পর গর্ভবতী হতে গিয়ে নানা সমস্যার সম্মুখীন হন। তবে যারা একটু দেরি করেই গর্ভবতী হতে চাচ্ছেন তারা কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখবেন।
৩০ পেরিয়ে গেলেও মা হওয়া যায়। এমনকি মেয়েদের বয়স ৩২ পেরিয়ে গেলেও মা হওয়া অবাস্তব কিছু নয়। কিছু নিয়ম হবু মায়েদের মেনে চলতে হবে। ডিম্বানু সুস্থতা থাকলে ৫০ বছর অবদী মেয়েরা গর্ভবতী হতে পারেন। ডিম্বানুর উর্বরতা কমে গেলেই সন্তান ধারণে সমস্যা দেখা দেয়।
৩০ এর পর মা হতে চাইলে নিজের ও পরিবারের কিছু হিস্ট্রির দিকে খেয়াল রাখতে হবে। যেমন পরিবারে যদি থাইরয়েড, প্রেশার, সুগার থাকে তাহলে আগে থেকে এসব বিষয়ে সাবধান হতে হবে। কোনও ক্রনিক ডিজিজ থাকলে ডিম্বাণুর গুণগত মান খারাপ হতে পারে।
নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা করে যেতে হবে। নিজের ডায়েট ঠিক রাখতে হবে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। শারীরিকভাবে ফিট থাকলে যেকোনো বয়সেই মা হওয়া যায়।