প্রচলিত রয়েছে প্রতিদিন আপেল খেলে নাকি ডাক্তারের কাছে যেতে হয় না। আপেলের এত গুণ। পুষ্টিবিদেরাও অনেকটা তাই-ই জানাচ্ছেন। যেমন একটি আপেলে রয়েছে খাদ্যশক্তি ৫২ কিলোক্যালরি, শর্করা ১৩.৮১ গ্রাম, চিনি ১০.৩৯ গ্রাম, রিবোফ্লেভিন ০.০২৬ মিলিগ্রাম, নিয়াসিন ০.০৯১ মিলিগ্রাম, প্যানটোথেনিক অ্যাসিড ০.০৬১ মিলিগ্রাম, ফোলেট ৩ আইইউ, ভিটামিন সি ৪.৬ মিলিগ্রাম, ভিটামিন ই ০.১৮ মিলিগ্রাম, ভিটামিন কে ২.২ আইইউ, ক্যালসিয়াম ৬ মিলিগ্রাম, আয়রন ০.১২ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেশিয়াম ৫ মিলিগ্রাম, ম্যাঙ্গানিজ ০.০৩৫ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ১১ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ১০৭ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ১ মিলিগ্রাম, জিংক ০.০৪ মিলিগ্রাম, ফ্লোরাইড ৩.৩ আইইউ।
আমরা যা কিছু খাই, তার মধ্যে কিছু না কিছু ক্ষতিকারক পদার্থ থাকে, ফলে আমাদের লিভারের ক্ষতি হতে শুরু করে। আপেল খুব সহজে লিভারে জমে থাকা ক্ষতিকারক উপাদান বেরিয়ে যেতে সাহায্য করে। আপেলে যে ফাইবার রয়েছে তা অন্ত্রের ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে, ফলে কোলেস্টেরলের মাত্রা সঠিক থাকে।
হার্টের ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি কমায় এটি হজমশক্তি বাড়ায়। ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। কিন্তু কথা হলো এত এত পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা কোন আপেল খেলে পাওয়া যাবে। লাল, নাকি সবুজ। পুষ্টিবিদদের মতে, সবুজ ও লাল আপেলের মধ্যে পুষ্টিগুণ প্রায় এক।
অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম সবুজ আপেলের চাষ শুরু হয়। মারিয়া অ্যান স্মিথ নামে এক নারী প্রথম সবুজ আপেলের চাষ করায় এ ধরনের আপেলকে গ্র্যানি স্মিথ আপেলও বলা হয়। ফ্রান্সের ক্র্যাব আপেল এবং রোম বিউটির হাইব্রিড করে ১৮৬৮ সালে প্রথম সবুজ আপেল উৎপন্ন করা হয়।
তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে সবুজ আপেলে খাদ্যগুণ বেশি থাকে। সবুজ আপেলে সুগার ও কার্বের পরিমাণ কম থাকে। অন্যদিকে ফাইবার, প্রোটিন, পটাশিয়াম, আয়রন ও ভিটামিন কে বেশি মাত্রায় থাকে।
তবে এই পার্থক্যটা খুবই সামান্য। তবে লাল আপেলের সঙ্গে সবুজ আপেলের পার্থক্যটি করিয়ে দেয় ভিটামিন এ। লালের তুলনায় সবুজ আপেলে দ্বিগুণ বেশি পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে। তবে লাল আপেলে কিন্তু সবুজের থেকে অনেক বেশি পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে।
ভিটামিন এ বেশি থাকায় সবুজ আপেল দৃষ্টিশক্তি উন্নত, হাড়ের শক্তি বাড়ানো, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর কাজে বেশি উপকারী। তবে সবুজের তুলনায় লাল আপেল বেশি পাওয়া যায় বলে এটিই বেশি খাওয়া হয়ে থাকে।