কলা প্রাকৃতিক শর্করা এবং কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ একটি ফল। স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে কলার বিকল্প নেই। কলায় থাকা ম্যাগনেসিয়াম হাড় এবং পেশীর স্বাস্থ্য ভালো রাখে। কলায় পটাসিয়াম, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬ এবং ফাইবারসহ প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ রয়েছে। আরও যেসব কারণে নিয়মিত কলা খাওয়া উচিত চলুন জেনে নিই-
পটাসিয়ামের ভালো উৎস
কলা পটাশিয়ামের অন্যতম সেরা প্রাকৃতিক উৎস, যা হৃদপিণ্ড এবং পেশীর কার্যকারিতা বজায় রাখার পাশাপাশি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শক্তি বৃদ্ধি
কলার প্রাকৃতিক শর্করা যেমন গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ এবং সুক্রোজ দ্রুত শক্তি বৃদ্ধি করে।
হজমের সমস্যা দূর করে
কলায় থাকা ফাইবার নিয়মিত মলত্যাগে সহায়তা করে। কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করার পাশাপাশি সামগ্রিক পরিপাক স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
দ্রুত হজম হয়
যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে, তাদের কলা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কারণ কলা হজম করা সহজ।
হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
নিয়মিত কলা খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।
সঠিক ওজন ধরে রাখতে সাহায্য করে
কলা ফাইবার সমৃদ্ধ এবং চর্বি তুলনামূলকভাবে কম। দৈনন্দিন ডায়েটে কলা রাখলে ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
মন ভালো রাখে
কলায় রয়েছে ভিটামিন বি৬, যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন। বি৬ সেরোটোনিন এবং ডোপামিনের মতো নিউরোট্রান্সমিটার উৎপাদনে জড়িত, যা ইতিবাচকভাবে মেজাজকে প্রভাবিত করতে পারে এবং চাপ কমাতে পারে।
ত্বক সুস্থ থাকে
কলায় থাকা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বার্ধক্যজনিত প্রভাবের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে।
প্রাকৃতিক মিষ্টি
স্মুদি, ওটমিল বা বেকড খাবারে প্রাকৃতিক মিষ্টি হিসেবে ব্যবহার করা যায় পাকা কলা। শিশুর খাবার মিষ্টি করতেও এর বিকল্প নেই।
তথ্য: টাইমস অব ইন্ডিয়া