দাঁত শরীরের একটি অপরিহার্য অংশ। স্বাভাবিক নিয়মেই খাওয়ার পর কিছু খাবার দাঁত ও মাড়ির মাঝের খাঁজে আটকে যায়। নিয়মিত ব্রাশ করলে সেটা চলেও যায়। কিন্তু যদি এই সামান্য খাবারের অংশ লেগে থাকা অবস্থায় ব্রাশ না করা হয়, তাহলে সেটা কিছুটা শক্ত হয়ে যায়। একে বলে প্লাক। এই কিছুটা শক্ত হয়ে যাওয়া প্লাকের কিছু অংশ পরে ব্রাশের সঙ্গে উঠতে চায় না। আর প্রত্যেকবার এ রকম একটু একটু প্লাক জমে শক্ত হয়ে তৈরি হয় ক্যালকুলাস । সহজ বাংলায় পাথর।
ক্যালকুলাস দাঁত থেকে মাড়িকে আলাদা করে দেয় এবং দাঁতের সংবেদনশীল অংশ ডেন্টিন (ফবহঃরহব) উন্মুক্ত করে দেয়। তাই এই পাথব বা ক্যালকুলাস পরিষ্কার করা প্রয়োজন হয়ে পড়ে। যখন শুধু ব্রাশের সঙ্গে না উঠে তখন ডাক্তারের কাছে গিয়ে যন্ত্রের সাহায্যে পরিষ্কার করতে হয়। আর এ পদ্ধতির নাম স্কেলিং। এটি সাধারণত আল্ট্রাসনিক মেশিনে করা হয়।
দাঁতে স্কেলিং কতদিন পর পর করবেন
স্কেলিং সাধারণত ৬ মাসে একবার করা প্রয়োজন। কারও কারো ক্ষেত্রে ১ বছরে ১ বার করার প্রয়োজন হয়। যাদের লালা হালকা তাদের একবার করলেও হয়। তবে বুদ্ধিমানের কাজ হলো ৬ মাস পর পর ডেন্টিস্টের কাছে যেয়ে চেকআপ করা।
তবে অনেকের ধারণা স্কেলিং করলে দাঁত ফাঁকা হয়ে যায়, দাঁত শিরশির করে, দাঁত নড়ে যায়, দাঁতের ক্ষতি হয়, স্কেলিংয়ে ব্যথা পাওয়া যায়।
চিকিৎসকের মতে, পাথর পরিষ্কার হয়ে গেলে, দাঁতের ভিতরটা খালি লাগে। সেই কারণে কারও কারও অস্বস্তি হয়। ভয়ও পান অনেকে। সেটাই এমন ভুল ধারণা ছড়ানোর জন্য দায়ী। বরং ডেন্টাল আল্ট্রাসনিক স্কেলিং দিয়ে নিয়মিত দাঁত পরিষ্কার করার মাধ্যমে আপনার দাঁত সুস্থ রাখতে পারবেন। কারণ এটি স্বাস্থ্যকর মাড়ি ও দাঁত সুন্দর রাখতে অত্যন্ত কার্যকর।