চিয়া সিড স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। বিশেষ করে যারা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তাদের জন্য চিয়া সিড হতে পারে সুপার ফুড। এটি স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখার পাশাপাশি, ত্বকেরও খেয়াল রাখে। প্রতিদিন নিয়ম করে চিয়া সিড খেতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এর পরিমাণ ঠিক রাখাও জরুরি। অতিরিক্ত চিয়া সিড খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। স্বাস্থ্যের উপকারী এই খাবার ক্ষতিরও কারণ হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা জানান, চিয়া বীজে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে চিয়া বীজ খাওয়া ক্ষতিকর। অনেকের শরীরে তা বিরূপ প্রতিক্রিয়া ঘটায়। যেমন_
পেট ফাঁপা
চিয়া বীজ খাওয়ার পর অনেকের পেট ফুলে যেতে পারে। পেটে গ্যাস জমতে পারে। বিশেষজ্ঞরা জানান, পাচনতন্ত্রে উচ্চ ফাইবার উপাদান প্রক্রিয়াকরণে অসুবিধার কারণে এমন প্রতিক্রিয়া হতে পারে। তাই এমন কোনো লক্ষণ দেখা দিলে চিয়া সিড থেকে দূরে থাকতে হবে।
পেটে ব্যথা
চিয়া সিডের কারণে পেটে খিঁচুনি বা তীব্র ব্যথা হতে পারে। পাচনতন্ত্রে জ্বালা বা অস্বস্তির হতে পারে। নিয়মিত চিয়া সিড খাওয়ার পর এমন লক্ষণ দেখা দিলে তাতে সতর্ক হতে হবে।
ডায়রিয়া
অতিরিক্ত চিয়া সিড খাওয়ার কারণে ডায়ারিয়াও হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা জানান, চিয়া বীজ অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করলে শরীরে ফাইবারের পরিমাণ বেড়ে যায়। অতিরিক্ত ফাইবার ঠিকমতো হজম হয় না। এতে ডায়রিয়া হতে পারে।
কোষ্ঠকাঠিন্য
অতিরিক্ত চিয়া সিড খেলে যেমন ডায়ারিয়া হতে পারে, আবার ঠিক এর উল্টো প্রতিক্রিয়াও ঘটতে পারে। অর্থাত্ কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা হতে পারে। চিয়া বীজ খাওয়ার সময় পরিমাণমতো পানি পান না করলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয়। এই বীজ তরল শোষণ করে এবং অন্ত্রে গিয়ে ফুলে যায়। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়।
বমি ভাব
চিয়া বীজ খেলে অনেকের বমি ভাব হতে পারে। যাদের চিয়া সিডের কারণে হজমের সমস্যা হচ্ছে তাদের মধ্যে বমি ভাব হওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। সাধারণত অতিরিক্ত চিয়া সিড খেলেই এমনটা হতে পারে। তাই পরিমাণ বুঝেই চিয়া সিড খাওয়া জরুরি।
পুষ্টির ঘাটতি
সুষম খাদ্যের অংশ হিসেবে চিয়া বীজ খাওয়া উচিত। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে চিয়া বীজ খেলে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি তৈরি হতে পারে। তাই পরিমাণ বুঝে চিয়া সিড খেতে হবে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।