কলা পাকা হোক বা কাঁচা দুই অবস্থাতেই পুষ্টিগুণে ভরপুর। প্রাচীন কাল থেকে আলসার, সংক্রমণ, ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণের পথ্য হিসেবে কাঁচা কলার ব্যবহার প্রচলিত। তবে শুধু যে পেটের সমস্যা হলেই কাঁচা কলা খেতে হবে বিষয়টি এমন নয়। কাঁচা কলা শরীরের নানা ধরণের উপকার করে।
- কাঁচা কলায় থাকে এনজাইম, যা ডায়েরিয়া এবং পেটের নানা সংক্রমণ দূর করে। তাই ডায়রিয়া নিরাময়ে কাঁচা কলা খেতে পারেন।
- কাঁচা কলাতেও প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে। বিভিন্ন গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, প্রতিদিন ৪,৭০০ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম গ্রহণে হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস হয়। তবে পটাসিয়াম সবার জন্য নিরাপদ নয়। উচ্চ রক্তচাপ অথবা কিডনির রোগে আক্রান্ত রোগীদের পক্ষে তাই কাঁচা কলা খাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ থাকা উচিত।
- উচ্চ মাত্রায় স্টার্চ ও খাদ্যআঁশ থাকায় কাঁচা কলা হজমে সহায়তা করে এবং পেটের সমস্যায় খুব ভালো কাজ করে।
- কাঁচা কলায় রয়েছে উচ্চমাত্রার ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি৬ ও ভিটামিন-সি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফেট।
- কাঁচা কলা অনেক ধরনের ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক। কাঁচা কলায় উপস্থিত ক্যালসিয়াম হাড় মজবুত করতে সহায়ক। কাঁচা কলা অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর।
- খাদ্যতালিকায় কাঁচা কলা রাখলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এতে থাকা শ্বেতসার ক্ষুধার অনুভূতি কমায় ও পেট ভরা রাখে। এভাবে এটা খাবারের চাহিদা কমিয়ে প্রাকৃতিকভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
- অ্যাসিডিটি সমস্যায় কাঁচা কলা রাখতে পারেন খাদ্য তালিকায়। এতে সমস্যা কমবে।