• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তুলসীপাতার যত গুণ


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ৫, ২০২৪, ০৭:২৮ পিএম
তুলসীপাতার যত গুণ
ব্রেস্ট ক্যানসার প্রতিরোধ করতেও তুলসী পাতা খুব কার্যকরী। ছবিঃ সংগৃহীত

সর্দি-কাশির হাত থেকে বাঁচতে তুলসীপাতার উপর ভরসা রাখেন অনেকেই। এ ছাড়াও কিন্তু তুলসীপাতায় নানা ধরনের গুণ রয়েছে।  বিশেষজ্ঞদের মতে, সুস্থ থাকতে প্রতিদিন একটি করে তুলসী পাতা চিবিয়ে খান। বাসার বারান্দায় যেখানে আলো–বাতাস চলাচল করে, সেখানে লাগিয়ে রাখতে পারেন উপকারী তুলসীগাছ।  তুলসীর ভিটামিন সি, অ্যান্টি-ইনফ্লেমটরি ও অন্যান্য অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে। এ উপাদানগুলো নার্ভকে শান্ত করে শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এছাড়া তুলসীপাতার আছে আরও অনেক গুণ। চলুন জেনে নেওয়া যাক তুলসীপাতার গুণগুলো-

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, তুলসীপাতায় থাকা যৌগগুলি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। অর্থাৎ তুলসি পাতায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রাকৃতিক তেল করায়ফালিন, ইউজিনল এবং মেথিল নামক উপাদান।এসব উপদান ইনসুলিনের ক্ষরণ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই ডায়াবেটিকরা নিয়ম করে তুলসীপাতা খেতেই পারেন।

ওজন নিয়ন্ত্রণ করে
অনেকেই হয়তো জানেন না যে, তুলসীপাতা খেলে ওজন কমে। তুলসীপাতার মধ্যে এমন গুণ আছে, যা হজমের প্রক্রিয়া দ্রুত করে। ফলে ওজন কমতে পারে তাড়াতাড়ি।

জ্বর সারাতে কার্যকর
অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টিবায়োটিক উপাদানে ভরপুর তুলসী। তাই মৌসুমী রোগ এবং সংক্রমণ সারাতে বেশ সাহায্য করে তুলসি।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে তুলসি পাতা। অ্যাজমা, ফুসফুসের সমস্যা, ব্রঙ্কাইটিস ইত্যাদি মোকাবিলায় কাজ করে এই পাতা।

ক্যানসার প্রতিরোধে তুলসী
তুলসী পাতায় রয়েছে রেডিওপ্রটেকটিভ উপাদান, যা টিউমারের কোষগুলোকে মেরে ফেলে। এতে থাকা ফাইটোকেমিক্যাল যেমন রোসমারিনিক অ্যাসিড, মাইরেটিনাল, লিউটিউলিন এবং এপিজেনিন ক্যানসারের বিরুদ্ধে খুবই কার্যকরী। অগ্ন্যাশয়ে যে টিউমার কোষ দেখা দেয়, তা দূর করতেও তুলসী উপকারী। ব্রেস্ট ক্যানসার প্রতিরোধ করতেও তুলসী পাতা খুব কার্যকরী।

মুখের দুর্গন্ধ দূর করে
তুলসীপাতা মুখগহ্বরের জীবাণু তাড়াতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে কয়েকটি তুলসীপাতা চিবিয়ে খেলে মুখের ক্ষতিকর ব্যাক্টিরিয়া ধ্বংস হয়। তাতেই কমে দুর্গন্ধ।

ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বাড়ায়
সর্দি-কাশি বাড়লে অনেক সময়ে তুলসীপাতা খেতে বলা হয়। এই পাতায় এমন কিছু উপাদান আছে, যাতে রয়েছে ফুসফুসের স্বাস্থ্যরক্ষা করার ক্ষমতা। ব্রঙ্কাইটিসের মতো রোগ দূরে রাখে তুলসীপাতা।

চোখের যত্নে তুলসী
তুলসীতে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানগুলো চোখের নানান সমস্যা যেমন, চোখের চুলকানি, অঞ্জনি, পিচুটিজাতীয় যাবতীয় সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া  দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি ছানি এবং গ্লুকোমার মতো চোখের রোগকে দূরে রাখতেও সাহায্য করে।

ত্বকের জন্যও উপকারী
তুলসীপাতা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর। নিয়ম করে তুলসীপাতা চিবিয়ে খেলে ত্বকে বয়সের ছাপ ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব। এছাড়া তুলসী পাতা বেটে সারা মুখে লাগিয়ে রাখলে ত্বক সুন্দর ও মসৃণ হয়। এ ছাড়া ত্বকের কোনও অংশ পুড়ে গেলে তুলসীর রস এবং নারকেলের তেল ফেটিয়ে লাগালে জ্বালা কমবে এবং সেখানে কোনও দাগ থাকবে না।

Link copied!