প্রকৃতিতে এখন ঋতুরাজ বসন্তের ধ্বনি। বসন্ত মানেই তো বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণের ঝুঁকি। বয়স্ক ও শিশুদের আবার সমস্যা বেশি। বসন্তকালীন এই ধরনের সমস্যাগুলোর সঙ্গে লড়াই করতে অন্যতম ভরসা হতে পারে আমলকী। ইদানীং অনেকেই সকালে খালি পেটে বাজার থেকে কেনা আমলকীর রস খান। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, আমলকীর রসের চেয়ে আস্ত একটি আমলকীর পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। বসন্তে রোগবালাইয়ের ঝুঁকি কমাতে কেন খাবেন আমলকী—
১) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে ভিটামিন সির যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। মৌসুম বদলে যে ধরনের সংক্রমণ হয়, তা রুখে দিতে পারে আমলকী।
২) পলিফেনল, ফ্ল্যাভোনয়েড, ট্যানিনের মতো অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রয়েছে আমলকীর মধ্যে। এই সব উপাদান অক্সিডেটিভ স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ করে এবং দেহের কোষ নষ্ট হয়ে যাওয়া রুখে দিতে পারে।
৩) হজমের গোলমাল ঠেকিয়ে রাখতে রোজ অ্যান্টাসিড খান? পরিস্থিতি জটিল হলে ওষুধ তো নিশ্চয়ই খাবেন। তবে রোজ একটি করে আমলকি খেলেই কিন্তু এ ধরনের হজম সংক্রান্ত সমস্যা নির্মূল করা যায়। এমনকি, কোষ্ঠকাঠিন্যের কষ্ট থেকেও মুক্তি দিতে পারে আমলকি।
৪) ওজন ঝরানোর প্রথম শর্ত হলো, বিপাকহার উন্নত করা। আমলকীর মধ্যে যে পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে, তা বিপাকহার বাড়িয়ে তোলার পক্ষে উপযুক্ত।
৫) তারুণ্য ধরে রাখতে, ত্বকের কোলাজেন সিন্থেসিস বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। আমলকী অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের উৎস। ত্বকের নিজস্ব জেল্লা ধরে রাখতেও সাহায্য করে এই ফল।
৬) বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রত্যক্ষভাবে না হলেও রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখতে পরোক্ষভাবে সাহায্য করে আমলকী। ইনসুলিন হরমোনের উৎপাদন এবং ক্ষরণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এই ভেষজ।