বাইরের প্রক্রিয়াজাত খাবার খেতে সাধারণত আমরা মানা করি। কারণ প্রক্রিয়াজাত খাবার শরীরের জন্য ক্ষতিকর। নানান ধরণের রোগের জন্য দায়ী বাইরে রাস্তা ঘাটে তৈরি পুরোনো ভাজা খাবার। তবে কিছু কিছু প্রক্রিাজাত খাবার আছে যে গুলো খাওয়া বারণ তো নাই বরং স্বাস্থ্যকর। সেগুলো স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। যেমন-
টিনজাত মাছ
জ্যান্ত মাছ বাজার থেকে কিনে এনে সঙ্গে সঙ্গে রান্না করে খেতে আমরা সবাই ভালো বাসি। তবে আপনি যদি টুনা বা স্যামন খেতে চান তাহলে টিনজাত মাছ খেতে পারেন। কারণ এই মাছগুলো প্রক্রিয়াজাত হলেও স্বাস্থ্যরক হিসেবেই চিহ্নিত হবে।
টক দই
দুধ থেকে প্রক্রিয়াজাত করেই দই প্রস্তুত করা হয়। আর সেই দই নিশ্চিন্তে খেতে বলা হয় সবাইকে। বিশেষ করে যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য উপকারি দই। তবে টক দই সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যকর। কারণ এতে রয়েছে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি-ওয়ান এবং প্রোবায়োটিকস। টক দইয়ে চিনি মিশিয়ে মিষ্টি করা হলে তখন তার স্বাদ বাড়লেও গুণাগুণ কমে যায়।
ড্রাই ফ্রুটস
বাজারে নানান ধরণের ড্রাই ফ্রুটস পাওয়া যায়। গুলোকে শুকনো ফলও বলতে পারেন। রসালো ফল থেকে জলীয় অংশ বের করে নিয়ে একে শুকনো ফলে রূপান্তিত করা হয়। যেহেতু এই খাবারে অন্য কিছু মেশানো হয় না তাই রসালো ফলের সব পুষ্টিগুণ এগুলোতে থাকে। তাই নিশ্চিন্তে ড্রাই ফ্রুটস খেতে পারেন।
পপকর্ন
সিনেমা দেখতে দেখতে পপকর্ন খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। এটি প্রক্রিয়াজাত হলেও অতি-প্রক্রিয়াজাত করা হয় না। ভুট্টার দানাকে সামান্য লবণ দিয়ে ভেজে নিলেই পপকর্ন হয়ে যায়। যেহেতু এতে ক্ষতিকর কিছু মেশানো হয় না বা বেশি তেল ব্যবহার করা হয় না তাই সমস্ত পুষ্টিগুণই থাকে এই খাবারে। এটি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। বিশেষ করে যারা স্বাস্থ্যকর উপায়ে দীর্ঘসময় পেট ভরা রাখতে চান তারা নির্ভয়ে পপকর্ন খেতে পারেন।