প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি গ্রহণ করা প্রয়োজন। খাবারের তালিকায় নিয়মিত ফল,সবজি, মাছ-মাংস এসব থাকলে সব ধরণের রোগের ঝুঁকি থেকে নিজেকে রক্ষা করা সহজ হয়। কারণ আমাদের অনেকেরই জানা নেই যে, কোন পুষ্টির অভাবে কোন রোগ বাসা বাঁধতে পারে। তবে এটিও জেনে রাখা উচিত যে, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস কিংবা কিডনির সমস্যার পেছনে কোন কোন পুষ্টিকর উপাদানের ঘাটতি রয়েছে। তাই চলুন আজ জেনে নিই যেসব পুষ্টির অভাব থাকলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে।
ম্যাগনেসিয়াম
আমাদের শরীরে ম্যাগনেসিয়ামের ভূমিকা অনেক। প্রদাহজনিত সমস্যা, বিষণ্ণতা, মাইগ্রেনের সমস্যা প্রতিরোধে ম্যাগনেসিয়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অন্যদিকে ম্যাগনেসিয়ামের অভাবে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। সবুজ শাক, স্যামন, অ্যাভোকাডো, কলা, লো ফ্যাট দই, বাদাম এবং বিভিন্ন ধরনের বীজ নিয়মিত খেলে ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি কমে। এবং হার্ট ভালো থাকে।
পটাসিয়াম
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরীরে পটাসিয়ামের ঘাটতি হলে হৃদস্পন্দনে অস্বাভাবিক হতে পারে এবং পেশী দুর্বল হতে পারে। পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরি। আলু, রাজমা ডাল, কলা, অ্যাভোকাডো, রোদে শুকানো টমেটো, দুধ, স্যামন এবং টুনা মাছ এগুলো পটাসিয়ামসমৃদ্ধ। হৃদস্পন্দন ঠিক রাখতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত এসব খাবার খেতে পারেন।
ভিটামিন ডি
ভিটামিন ডি আমাদের শরীরের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ। এটি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। এছাড়াও ভিটামিন ডি শরীরের খাদ্যতালিকাগত ক্যালসিয়ামের ব্যবহারকে সহজতর করে। ডিমের কুসুম, স্যামন, টুনামাছ ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ। সবচেয়ে বেশি ভিটামিন ডি পাওয়া যাবে সূর্যের আলোতে। তাই প্রতিদিন অন্তত আধা ঘণ্টা রোদে থাকার অভ্যাস করুন।
ক্যালসিয়াম
ক্যালসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কম ক্যালসিয়ামের মাত্রা রক্তচাপ বাড়াতে পারে, যা হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। আপনার হৃৎপিণ্ড এবং হাড়ের জন্য উপকারী দই, দুধ, ফোর্টিফাইড সিরিয়াল এবং সয়াবিন খাওয়ার পরিমাণ বাড়ান।
ভিটামিন বি
গবেষণায় দেখা যায়, যারা বেশি ফোলেট এবং ভিটামিন বি৬ গ্রহণ করেছে তাদের স্ট্রোক এবং হার্ট ফেইলিওরজনিত মৃত্যুর ঝুঁকি কম ছিল। ভিটামিন বি৬, বি১২ এবং বি৯ হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখার কাজ করে। ভিটামিন আমাদের শরীরে নতুন লোহিত রক্ত কণিকা তৈরিতে সহায়তা করে, যা টিস্যু এবং বিভিন্ন অঙ্গে অক্সিজেন সরবরাহ করে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে।
তাই হৃদরোগ এড়াতে নিয়মিত সঠিক পরিমাণে পুষ্টির গ্রহণ করার চেষ্টা করুন।