• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

উচ্চ রক্তচাপের কারণ ও প্রতিরোধে করণীয়


নাইস নূর
প্রকাশিত: মে ১৭, ২০২৩, ১০:২৩ এএম
উচ্চ রক্তচাপের কারণ ও প্রতিরোধে করণীয়

আজ ১৭ মে। বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস। উচ্চ রক্তচাপ কী, কেন হয়, প্রতিরোধে করণীয় কী এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশের সঙ্গে কথা বলেছেন ডা. নম্রতা তাহসীন জহির। সাক্ষাতকারটি নিয়েছেন নাইস নূর।

সংবাদ প্রকাশ : উচ্চ রক্তচাপ কী ?

ডা. নম্রতা তাহসীন :  উচ্চ রক্তচাপ কিংবা হাইপারটেনশন হলো একটি রোগ, যখন কোনো ব্যক্তির রক্তের চাপ সব সময়েই স্বাভাবিকের চেয়ে ঊর্ধ্বে থাকে। রক্তচাপ স্বাভাবিকের তুলনায় অত্যধিক বেড়ে গেলে তা রোগীর রক্তনালী, হৃৎপিণ্ড, মস্তিষ্ক, কিডনি ও চোখের মতো অঙ্গে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে। রক্তচাপ একটানা অনিয়ন্ত্রিত থাকলে মারাত্মক ও প্রাণঘাতী কিছু রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। যেমন হৃদরোগ, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, হার্ট ফেইলিউর। কিডনির সমস্যা, পায়ে রক্ত চলাচল কমে যাওয়া ফলস্বরূপ গ্যাংগ্রিন বা পচা ঘা হতে পারে। অ্যাওর্টা নামক দেহের বৃহত্তম ধমনীর রোগ কিংবা মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ কমে যাওয়ার কারণে সৃষ্ট ডিমেনশিয়া হয়।

সংবাদ প্রকাশ : উচ্চ রক্তচাপের প্রধান কারণ কী?

ডা. নম্রতা তাহসীন : উচ্চ রক্তচাপের ৯৫ ভাগ কারণ হলো ইডিওপ্যাথিক। ধূমপান, মদ্যপান, অতিরিক্ত মানসিক চাপ, প্রেগন্যান্সি স্থূলতা, এ ছাড়াও কিডনি সমস্যা ও অন্যান্য কিছু রোগ থাকলে প্রেসার বেশি থাকে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে কিছু মেডিসিন থেকেও প্রেসার বাড়তে পারে। এ ছাড়া পারিবারিকভাবে উচ্চ রক্তচাপের ইতিহাস থাকলে এরকম হতে পারে।

সংবাদ প্রকাশ : উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধে করণীয় কী?

ডা. নম্রতা তাহসীন : রক্তচাপ যদি ১৩০/৮০ বা তার নিচে থাকে তাহলে রোগী ভালো অনুভব করবে।  প্রথমত জীবনধারায় স্বাস্থ্যকর পরিবর্তন আনলে তা উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমায়। রোগীকে নিয়মিত ৪০ মিনিট হাঁটতে হবে। খাবারে অতিরিক্ত লবণ পরিহার করতে হবে। যথাসম্ভব মানসিক চাপ কম রাখতে হবে। নিয়মিত ভালো ঘুমাতে হবে। শরীরের ওজন ঠিক রাখতে হবে। কোলেস্টেরল বেশি রাখা যাবে না। ধূমপান, মদ্যপান, ক্যাফেইন সেবন কমানো জরুরি। এসব নিয়ন্ত্রণ করলে উচ্চ রক্তচাপ হয়ে থাকলেও সেটি নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে। প্রাথমিক ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপ কমাতে মেডিসিনের প্রয়োজন হয় না। কিন্তু দীর্ঘদিন পর্যন্ত এমন অবস্থা থাকে কিছু মেডিসিনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।  

অনেক ক্ষেত্রে ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে। এরকম হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ বদল করতে হবে। দিনের বেলা এবং রাতের বেলা ওষুধ নিয়মিত খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসে।

সংবাদ প্রকাশ : কখন চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে?

ডা. নম্রতা তাহসীন : উচ্চ রক্তচাপ থাকলে দুই মাস পর পর চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। উচ্চ রক্তচাপের পাশাপাশি রোগীর যদি কিডনি, ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য রোগ থাকে, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে। রুটিন চেকআপ বন্ধ রাখা যাবে না। বাসায় নিয়মিত রক্তচাপের পরিমাপ করতে হবে।

সংবাদ প্রকাশ : সবশেষে জানতে চাই, যেসব রোগীদের উচ্চ রক্তচাপ আছে, তাদের খাদ্যাভ্যাস কেমন হবে?

ডা. নম্রতা তাহসীন : প্রথমত পরিমিত খাবার গ্রহণ করতে হবে। চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে যেতে হবে। কার্বোহাইড্রেট কম খেতে হবে। ফল এবং রঙিন শাক-সবজি খেতে হবে।

Link copied!